
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে পিএসসি। গতকাল সোমবার সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগের রাতে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পিএসসি সংস্কারসহ কয়েকটি দাবিতে অনশনরত আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের পর অভিযোগ ওঠে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের 'চাপে' এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন উপদেষ্টা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ মাহমুদ দাবি করেন, পিএসসিকে এই সিদ্ধান্ত নিতে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করেননি তিনি। পিএসসি এবং ছাত্রদের মধ্যে ব্রিজ হিসেবে সমস্যার সমাধান করাই তার লক্ষ্য ছিল।
ওই ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, পিএসসি সংস্কারের দাবিতে প্রায় ৮০ ঘণ্টা অনশন করে ৪ জন চাকরি প্রার্থী ঝুকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থায় পৌঁছালে পিএসসি এবং তাদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিই। রাজু ভাষ্কর্যে বসেও বারবার বলেছি 'পিএসসি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। আমি পিএসসি এবং আপনাদের মধ্যে ব্রিজ হতে পারি, সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই'। প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি সুরাহা না করে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
তিনি আরো বলেন, পিএসসি সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে রাজুতে বসেই ফোনে কথা বলেছি। পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম স্যার তিনজন সদস্য পাঠান আলোচনার জন্য। টিএসসিতে সাংবাদিক সমিতির অফিসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এবং পিএসসির সদস্যদের মধ্যকার দীর্ঘ আলোচনার পর পিএসসি লিখিত পরীক্ষা আপাত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তা ঘোষণা করেন পিএসসির একজন সদস্য।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশেই পিএসসিকে আমি কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি।
ওই পোস্টের শেষে তিনি দেশের একটি পত্রিকায় এই ইস্যুতে তাকে জড়িয়ে করা সংবাদের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে দায়িত্ব পালন করছি। ফলে শিক্ষার্থীদের যেকোন যৌক্তিক দাবি কিংবা সমস্যায় এগিয়ে যাওয়াটা আমার দায়িত্ব। আমি সে দায়িত্ব পালন করছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।