Image description

রাজধানী পল্লবীর বাসিন্দা ও দুবাইপ্রবাসী মো. সামীম সানার ২০১ গ্রাম স্বর্ণালংকার দেশে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় প্রতারকচক্রের মূল হোতা আমিরুজ্জামান আমিরের (৪৮) বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় গত ১২ এপ্রিল অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী। অভিযোগের তদন্তে গেলে ঘটনার সত্যতা শিকার করে পুলিশকে স্বর্ণালংকার ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন আমির। কিন্তু পরে স্বর্ণ ফেরত না দিয়ে অভিযুক্ত আমির বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশ ও ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশের আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও ডিসি মিরপুরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সানা। এ ছাড়া গতকাল রবিবার পল্লবী থানায় আমির, ইব্রাহীম খান রানা ও জহির আহমেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন তিনি।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে সানা উল্লেখ করেন, ২৬ লাখ টাকার ২০১ গ্রাম স্বর্ণালংকার দুবাই থেকে ক্রয় করে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মো. আমিরুজ্জামান আমিরের জিম্মায় দেন তিনি। আমির স্বর্ণালংকার তার আত্মীয় মো. ইব্রাহীম খান রানা ও জহির আহম্মেদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন।

 
যার ভিডিও ফুটেজ ও অডিও প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে। তারা ২৮ মার্চ স্বর্ণ হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেন এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেন। পরে ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ দিলে পল্লবী থানা পুলিশ তদন্তে যায়।
 
পুলিশের উপস্থিতিতে আমির মালামাল গ্রহণের কথা স্বীকার করে মীমাংসার কথা বললে পুলিশ ফিরে আসে। কিন্তু এরপর তিনি পুলিশ ও আমার বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচার চালান।

ভুক্তভোগী সানা বলেন, এটি ভয়ংকর একটি চক্র। তারা আমাকে স্বর্ণ ফেরত তো দিচ্ছেই না, উল্টো আমাকেসহ পুলিশকে বিতর্কিত করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনায় প্রাণভয়ে আছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনা সত্য। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিবাদীর অফিসে তদন্তে যায়। বিবাদী সে সময় মীমাংসার আশ্বাস দিলে পুলিশ চলে আসে। কিন্তু পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশসহ ভুক্তভোগীর নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।