
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানার কনস্টেবল হুমায়ুন কবিরের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ডিএমপির একটি সেকশনে ড্রাইভার পদে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে যাত্রাবাড়ী থানাধীন দয়াগঞ্জ বটতলা এলাকার বাসার সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হুমায়ূন যাত্রাবাড়ী থানাধীন দয়াগঞ্জ বটতলা এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কনস্টেবল হুমায়ুন কবিরের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তিনি কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পাশাপাশি বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। প্রতিদিন ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরে বাসার সামনেই থাকা দোকানে একবার ঢুঁ মারতেন হুমায়ূন। প্রতিদিনের মতো রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতেও নিজ দোকানে উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে বাসায় না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা মনে করেছিলেন তিনি দোকানেই হয়তো কোনো কাজে আছেন। কিন্তু পরদিন সকালে বাসার সামনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের এডিসি আকরামুল হাসান কালবেলাকে বলেন, কনস্টেবল হুমায়ুন বটতলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। বাসায় তার স্ত্রী এবং এক ছেলে-মেয়ে ছিল। তার স্ত্রীর একটি পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এটা নিয়ে পারিবারিকভাবে ঝামেলা হওয়ার পর মিটমাট হয়েছিল। এছাড়াও যেহেতু হুমায়ূনের বিকাশের দোকান ছিল, গভীর রাতে কোন ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন কি না সেই বিষয়টিকেও মাথায় নিয়ে কাজ চলছে। আপাতত তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।