Image description
 

গত সোমবার (২১ এপ্রিল) চারদিনের সরকারি সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪) কাতার সফর শেষ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতার সফরকালে একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একজন কাতার প্রবাসী প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে জানান, তিনি (প্রবাসী) ১ হাজার রিয়াল (কাতারের মুদ্রা) বেতনে চাকরি করতেন, বর্তমানে সেখানে ১৪টি কোম্পানির মালিক।

ওই প্রবাসী জানান, তিনি ৩৬ বছর ধরে কাতারে থাকছেন। ১ হাজার রিয়াল বেতনে ১০ বছর কাজ করে তিনি এখন ১৪টি কোম্পানির মালিক। তাঁর কোম্পানিগুলোতে ১ হাজার ২০০ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন।

 

এছাড়া, তিনি কাতারের রাজধানী দোহার সবচেয়ে বড় লিমোজিন কোম্পানি (পরিবহন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান) ‘পিক কুইক লিমোজিন’ (Pick Quick Limousine) এর মালিক বলেন জানান। তিনি বলেন, আমার এই প্রতিষ্ঠানে ৯০০ এর বেশি ড্রাইভার কর্মরত আছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’

 

ওই প্রবাসী প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রবাসীদেরকে নিয়ে কিছু কথা বলব। প্রবাসীদেরকে এয়ারপোর্টে আরেকটু সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া যায় কিনা, যাতে আমরা পরিবার নিয়ে যারা দেশে যাই, তাদের জন্য আলাদা একটা লাইন থাকে এবং হয়রানি বন্ধ হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায়ই আমরা খবরে দেখি, প্রবাসীদের ব্যাগগুলো কাটা হয় এবং প্রবাসীদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলা হয়। এই জিনিসগুলা থেকে যাতে আমরা প্রবাসীরা আরেকটু মুক্তি পেতে পারে, যাতে আমরা আমাদের মনের খুশিতে দেশে প্রবেশ করতে পারি, সে ব্যবস্থা করা যায় কিনা?’

প্রবাসীর এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ‘আমরা বলছি যে, প্রবাসীদের ভিআইপি গেস্ট হিসেবে ট্রিট করবা। এঁরা সবাই আমাদের ভিআইপি, তাঁরা আসছেন, তাঁদের সমাদর করা, তাঁদের জায়গা দেওয়া। এছাড়া, লাউঞ্জ হচ্ছে মানে কাজ চলছে। এগুলো আপনাদের অবগতির জন্য জানালাম। আর ইমিগ্রেশনে কিন্তু আপনাদের আলাদা লাইন আছে এবং আমি দেখেছি মোটামুটি, আগের চেয়ে কিন্তু অবস্থা ভালো হয়েছে।’