Image description
 

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে (১৯) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।  

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 
এ নিয়ে আলোচিত এ হত্যা মামলায় মূল আসামিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

 
এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে মাহাথির হাসান (২০) নামে এ মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা থেকে এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।  

তার আগে রোববার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)।

গ্রেপ্তার মেহেরাজ ইসলাম প্রাইম এশিয়া ইউনির্ভাসিটির বিবিএ অধ্যায়নরত। মেহেরাজ ঢাকার বনানী এলাকার নুরুল ইসলাম সর্দারের ছেলে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১৩ জানায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে ভবানীপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করে। মেহেরাজ ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।  

গ্রেপ্তারের পরপরই তাকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে র‍্যাব সদস্যরা। এ বিষয়ে র‍্যাব-১ উত্তরা থেকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। হত্যার শিকার পারভেজ

শনিবার বিকেল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হন। তবে টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে পারভেজকে।
এ ঘটনায় রোববার নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়।

২৪ বছর বয়সী জাহিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়।