Image description

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও দেশের দ্বিতীয় সংসদ হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলন—সব আন্দোলনেই ডাকসু নেতৃত্ব দিয়েছে। একইসাথে রাজনীতিবিদ তৈরির কারখানা হিসেবেও দেশের দ্বিতীয় এই সংসদের ভূমিকা অপরিসীম।

স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট আটবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ডাকসু নির্বাচন। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয় ২০১৯ সালের ১১ মার্চে। যদিও ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরেন সিনেটে। তবে নিয়মিত নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।

ডাকসুর সর্বশেষ কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। এরপর তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসেই ৫ বছর পার হয় ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের। কিন্তু বর্তমানে সে পরিস্থিতি একেবারেই বদলে গেছে। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।

ডাকসু নিবার্চনটা আমাদের গণঅভ্যুত্থানের মৌলিক চেতনার সাথে সম্পর্কিত। এটি মানুষের মত প্রকাশের অধিকার-স্বাধীনতার যে মূল্যবোধ সেটিকে প্রতিফলন করে। অতএব এটির ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই এটি আমরা করবোঅধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনও এই নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইতিবাচক। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের কাজ শুরু করেছে। সর্বশেষ গেল সপ্তাহে ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে নির্বাচন কবে হবে তা সুনির্দিষ্ট করে না জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আসন্ন মে মাসের মাঝামাঝিতে ডাকসু নির্বাচনের কমিশন গঠন করা হবে। এরপর তফশিল ঘোষণা করে ওই মাসের শেষে কিংবা আগামী জুনে অর্থাৎ ঈদুল আজহার পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করবে বর্তমান প্রশাসন। এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনে বদ্ধপরিকর আমরা।

ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন। তাদের মতে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের সব সংগঠনের সহাবস্থানও বজায় রয়েছে। তাহলে প্রশাসন কেন ডাকসু নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করতে পারছে না, প্রশ্ন বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাদের। অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা। নতুবা এ দাবিতে কর্মসূচি পালনের কথা ভাবছে ছাত্রসংগঠনগুলো।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৪ সালে। ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ডাকসুর ভিপি মনোনীত করা হয়। ডাকসুর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। এর আগে ভিপি মনোনীত ছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে।

শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন।

তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরেন সিনেটে। তবে নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। ২০২০ সালে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গত পাঁচ বছরে কোনো নির্বাচন দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতির নির্বাচন নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২০১৯ সালে ডাকসুর যে নির্বাচন হয়, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার পর ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছিল। ডাকসুর ২৫ পদের ২৩টিতেই জিতেছিল ছাত্রলীগ। তাদের মধ্যে জিএস পদে ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে একই প্যানেলের সাদ্দাম হোসেন (এখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি) নির্বাচিত হন। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরেও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে ডাকসুর ভিপি পদে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পরে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এ ছাড়া ১৮ হল সংসদের মধ্যে ১২টিতে ভিপি ও ১৪টিতে জিএস পদে জেতে ছাত্রলীগ। অন্য পদগুলোয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডাকসু নিবার্চনটা আমাদের গণঅভ্যুত্থানের মৌলিক চেতনার সাথে সম্পর্কিত। এটি মানুষের মত প্রকাশের অধিকার-স্বাধীনতার যে মূল্যবোধ সেটিকে প্রতিফলন করে। অতএব এটির ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই এটি আমরা করবো।

আরো পড়ুন: ঢাবিতে ‘প্রেমিকযুগলের প্রতারণা সিন্ডিকেট’, বোকা বনলো উপদেষ্টা থেকে ছাত্রলীগ পর্যন্ত!

কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সঠিক তারিখটি নির্ধারণ করবেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং আমার সাথে পরামর্শ করে তারিখটি ঠিক করবেন। এর আগে আমরা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের একজন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন দরকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি তাকে সহযোগিতা করবো। 

জানতে চাইলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন চাচ্ছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই নির্বাচন আয়োজনে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগির নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবে প্রশাসন। এরপর তিনি নির্বাচন আয়োজনের সব কাজ সম্পন্ন করবেন।

কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এটি ঘোষণা করার এখতিয়ার আছে। এজন্য নির্দিষ্ট করে নির্বাচনের দিন-তারিখ বলা সম্ভব নয়। তবে আগামী মে মাসের শেষের দিকে কিংবা জুন মাসের মাঝামাঝি যেকোনো দিন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রশিবিরের পক্ষে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের ৯ প্রস্তাব ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আমরা দেখেছি সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু আমরা বলেছি, নির্বাচনের নির্দ্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করুক। প্রয়োজনে দেরিতে হলেও সমস্যা নেই, তবে নির্দ্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করুক সেটা আমাদের দাবি।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের বির্তকিত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু আজ তারা ক্যাম্পাস ছাড়া। এরমধ্যে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। এসব ঘটনা থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমি মনে করি, গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব এবং এতে সব ছাত্রসংগঠন এগিয়ে আসবে।

ডাকসু নির্বাচনের জন্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকেই কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে মোতাবেক ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ছয়টি সভা করা হয়। এটি এখন সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের আগে ক্ষমতাসীন দল তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিত করে রাখতে এই নির্বাচন দেয়নি। কিন্তু জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে একটি আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন সময় ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় এখন পর্যন্ত এই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া।

তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কিন্তু নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে চলচাতুরি করা হচ্ছে। হয়তো তারা কোনো বাধা পাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। আমরা গত মাসে দুই দাবি নিয়ে প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। 

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে দলটির মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ছাত্রদলও ডাকসু নির্বাচন চায়। শুধু তাই নয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় ছাত্রদল। তবে ২০১৯ সালের বিতর্কিত ডাকসু নির্বাচনের কুশীলব শিক্ষক-কর্মকর্তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। তাছাড়া যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা জুলাই আন্দোলনের বিপরীতে ছিলেন এবং ফ্যাসিবাদের দোষত তাদেরও বহাল তবিয়তে রেখে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা আগে তাদের বিচার চায়।

তফশিল ঘোষণার এক মাসের মধ্যে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন
২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর একমাস আগে ১১ ফেব্রুয়ারি তফশিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছিল ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি, যা চলে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থী হওয়ার শেষ সময় ছিল ২ মার্চ। যাচাই-বাছাইয়ের পর ৩ মার্চ প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় খসড়া ভোটার তালিকা। তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০ ফেব্রুয়ারি। ডাকসুর ভোটগ্রহণ হয় ওই বছরের ১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। 

এবারের ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইনে যা আছে
গত ১৫ এপ্রিল ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা অনুযায়ী, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

এর আগে নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ সম্পন্ন হবে মে মাসের প্রথমার্ধে। এ মাসেই প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করবে।

ডাকসু নির্বাচনের জন্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকেই কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে মোতাবেক ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ছয়টি সভা করা হয়। এটি এখন সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

গত জানুয়ারি মাসে কোড অব কন্ডাক্ট রিভিউ কমিটি করা হয়। তারা সাতটি সভা করেছে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কমিটি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ও সম্পন্ন করেছে। এসব বিধিমালা ছাত্র সংগঠনগুলোকেও দেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া মার্চ মাসেই শেষ হবে। ডিন, প্রভোস্ট ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।