Image description

পুলিশ বাহিনীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল—এমনভাবে, যে ৫ই আগস্টের পর দেশের সকল থানার পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি, এমনকি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও না। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে চীফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “এই বাহিনীকে একেবারে ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনর্গঠন করতে হচ্ছে আমাকে।”

তিনি আরও বলেন, "আজও সেই পুলিশ বাহিনীকেই তদন্ত কাজ চালাতে হচ্ছে, যদিও অপরাধে জড়িতরাও সেই বাহিনীরই সদস্য। আমার হাতে বিকল্প নেই। পুলিশের মাধ্যমে পুলিশকেই তদন্ত করতে হচ্ছে।"

অপরাধের ব্যাপকতা এতটাই বিস্তৃত যে, কনস্টেবল থেকে শুরু করে নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে গেলে অন্তত ৫০ বছর সময় লাগবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তাজুল ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যেসব গুম হয়েছে, তার একমাত্র কারণ শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় না থাকলে এসব গুম হতো না। তার অমর হওয়ার ইচ্ছা, ক্ষমতার লোভ এবং লুটপাটের আকাঙ্ক্ষাই তাকে একপ্রকার দানবে পরিণত করেছে। এসব অপরাধের নির্দেশ তিনি দিয়েছেন, আর তার অধীনস্থরা তা বাস্তবায়ন করেছে।”

তিনি মনে করেন, অপরাধীদের মূল নেতাদের বিচারের আওতায় আনলেই নিচের পর্যায়ের দায়মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। “দানবের প্রাণভোমরা ধ্বংস হলে, দানব নিজেই মরে যাবে। সেই কাজটাই আমরা করছি,”—বলেন তিনি।

তিনি জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমাদের গর্ব, আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক। কিন্তু এই বাহিনীগুলোর মধ্যে কিছু দুর্বৃত্ত অনুপ্রবেশ করে ভয়াবহ অপরাধ করেছে। এই অপরাধীদের দায় বাহিনীগুলোর নয়, বরং বাহিনীর ভেতরে লুকিয়ে থাকা সেই দুর্বৃত্তদের।”

চীফ প্রসিকিউটর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা ন্যায়বিচারের পথে আছি। দেশের মানুষকে পাশে চাই। আমাদের ইতিহাস, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবই নির্ভর করছে এই মুহূর্তে আমরা কোন পথ বেছে নিই তার ওপর।”

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=jVQsdFFvoPk