
পিরোজপুরের নেছারাবাদে আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ হাজারেরও অধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকার আমানত নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরিচালকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পরিচালকের পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার মধ্যরাত থেকে সমিতির পরিচালকের পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের একটি প্রজেক্টে লুটপাট চলছে। গ্রাহক পরিচয়ে স্থানীয় অনেকে প্রজেক্ট থেকে ৪২টি গরু, ৮টি ভেড়া ও গরুর ফার্মের চালের টিন নিয়ে গেছেন। স্থানীয় কেউ কেউ প্রজেক্টের আম বাগানের আম বস্তা ভরে নিচ্ছেন। টিউবয়েল, ফার্নিচার, ধান ভাঙার মেশিন, নারকেল যে যা পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, পরিচালক রহমত উল্লাহ লাপাত্তার খবরটি জানতে পেরে সমিতির পরিচালকের আরামকাঠি গ্রামের বাড়িতে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সমিতির পরিচালককে না পেয়ে সমবায় সমিতির ম্যানেজার, মাঠকর্মী, তার একান্ত সহযোগীসহ মোট সাতজনকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রাহকদের হাতে আটক সাতজনকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় শৈশব নামে এক ব্যক্তি রহমত উল্লাহর সমিতির গ্রাহক পরিচয়ে গরুর ফার্মের টিন ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দুই লাখ টাকা পাব। তাই টিন খুলে নিচ্ছি। স্থানীয় বিটুল নামে অপর একজন একইভাবে রহমত উল্লার গরুর ফার্মের টিন খুলছিলেন। তিনি বলেন, আমি সমিতিতে ৫০ হাজার টাকা পাব। তাই এসব নিয়ে যাচ্ছি।
নেছারাবাদ উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি বলেন, তার সমিতির লাইসেন্স বরিশাল বিভাগ থেকে করা। তারা আমাদের আইন না মেনে চলত। শুনেছি এখন নাকি রহমত পালিয়েছে। পলাতক পরিচালকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, বিষয়টি শুনে রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে সমিতির ম্যানেজার ও মাঠকর্মীসহ সাতজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সমিতির সভাপতিসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা আইনে মামলার দায়ের করা হয়েছে।