
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে একদল যুবক। ‘বাংলাদেশ সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে এই কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন তারা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা কালবেলাকে জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যা পেয়েছে সেখানে দরকার আমূল সংস্কার এবং এই সংস্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান তারা।
এই অবস্থান কর্মসূচি আগামী এক সপ্তাহ চলবে বলে জানানো হয়। এরপর দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরণ অনশনে বসার কথাও উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা পাঁচটি দাবি জানান। এগুলো হলো- অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে জুলাইয়ে চলা গণহত্যার বিচার করতে হবে, আগামী ৫ বছর কোনো নির্বাচন হবে না, আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং পরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে, নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করতে হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণ করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচি পালন করা সেন্ট্রাল ল’ কলেজের শিক্ষার্থী মো. ইউসুফ বলেন, ইউনূসই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই দেশের সংস্কার করতে পারবেন। ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে যে বিজয় আমরা পেয়েছি সেটাকে সমুন্নত রাখতে তার ক্ষমতায় থাকা খুব জরুরি। আমরা চাই ইউনূসের হাত দিয়েই সব সংস্কার হোক। এরপর নির্বাচন হোক।
কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে সংস্কার হবে এরপর নির্বাচন হবে, এর বাইরে কোনো কথা নেই এবং এ কাজটা একমাত্র ইউনূস সরকার করতে পারবে। সে দাবি নিয়েই আমরা এখানে বসেছি।
ফয়সাল আমির নামে আরেকজন আন্দোলনকারী বলেন, অতীতে আমরা অনেক সরকার দেখেছি। সবাই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবারই সুযোগ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। এই কাজটা একমাত্র সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব এবং সেটা ইউনূস সরকারের হাত ধরেই হোক।