Image description

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের (জেআইএম) সাড়াশি অভিযানে বাংলাদেশী ও বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আটকদের মধ্যে ঠিক কয়জন বাংলাদেশী রয়েছে তা জানায়নি অভিবাসন বিভাগ। আশঙ্কা করা হচ্ছে অধিকংশই বাংলাদেশী।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বির একটি ব্যবসায়িক এলাকায় একটি এনফোর্সমেন্ট অপারেশন পরিচালনা করা হয়। ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দফতর ও নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের বিভিন্ন পদের ১৮৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসারের একটি বাহিনী ও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের মতো অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় যৌথ অভিযানটি পরিচালিত হয়।

 

দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

 

অভিযান ও পরিদর্শনের সময় কিছু বিদেশী নাগরিক ছিলেন যারা ঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অন্যান্য স্থানে লুকিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। আটক অভিবাসীদের সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ছিল পরিচয়পত্রের অভাব, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা, অচেনা কার্ডধারী এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অন্যান্য অপরাধ।

 

অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ১৯৬৩ এবং অভিবাসী পাচার বিরোধী ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭-এর অধীনে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।