Image description

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এম.এ.জি. ওসমানী হল, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল এবং বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম হলের সামনে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে অবৈধভাবে রাখা গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশার সংখ্যা। এতে শিক্ষার্থীদের চলাচলে যেমন অসুবিধা হচ্ছে, তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে নিরাপত্তার ঝুঁকিও।

বিশেষ করে সন্ধ্যার পরপরই হলের সামনে পার্কিং করা হয় অসংখ্য রিকশা, গাড়ি ও মোটরসাইকেল। তাছাড়া মেয়েদের হলের সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ রিকশার গ্যারেজ। সেখানে রাত হলে বসে নিয়মিত মাদকের আসর। যার ফলে পথটি মেয়েদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বুটেক্সের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হলের ছাত্ররা প্রভোস্টদের বরাবর যদি আবেদন করে তাহলে হল প্রভোস্টরা মিলে প্রশাসনিকভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং নো পার্কিং সাইনের ব্যবস্থা করা হবে।’

ওসমানী হলের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য এই সড়কটিতে অবাধ গাড়ি পার্কিং বন্ধ হওয়া উচিত। বারবার বলা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বাইরের রিকশা ও বাইকাররা গেটের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার্কিং করে রাখে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিতারা বেগম হলের ৪৭ তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী জানান, তাদের হলের সামনে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পার্কিং করা হয়, যা তাদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাছাড়া তাদের হলের সামনে অবৈধ রিকশার গ্যারেজে রাতে অনেকে মাদক গ্রহণ করে ফলে তারা রাতে চলাচল করতে অনিরাপদ বোধ করে। 

জি.এম.এ.জি. ওসমানী হলের প্রহরী শফিউল বাশার জানান, আমরা অনেক সময় বললেও বাইরের লোকজন কথা শোনে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদি প্রশাসনের এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

শিক্ষার্থীরা দাবি করছে যে, সেখানে ‘নো পার্কিং’ বোর্ড স্থাপন ও নিয়মিত নজরদারি নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষার্থীদের আশা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করবে এবং হলের সামনে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।