Image description

কেবলমাত্র মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পারিবারিক কলহ, জায়গা-জমির বিরোধ ও চাকরি সংক্রান্ত বিষয়সহ অপ্রাসঙ্গিক কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার-বহির্ভূত অভিযোগও নিয়ে আসেন বিচার প্রার্থীরা। ট্রাইব্যুনালের প্রতি মানুষের আস্থা থেকেই হয়তো তারা এমনটি করেছেন।

তামিম আরও বলেন, সাধারণ মানুষ অনেকেই জানে না যে, এখানে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) কোন ধরনের বিচার হয়। এজন্যই অনেকেই তাদের সব ধরনের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে। আমরা ইতোমধ্যেই পারিবারিক কলহ, স্বামী-স্ত্রী’র বিভেদ, জায়গা-জমির বিরোধ, চাকরি সংক্রান্ত অভিযোগসহ নানা ধরনের অভিযোগ পেয়েছি, যেগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে না বলে সেগুলো আমরা আর তদন্তে পাঠাই না। আর এসব আবেদন আসাকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই নেই।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১০ সালে। এই ট্রাইব্যুনালের অধীনে ইতোমধ্যে বিচার শেষে একাধিক ব্যক্তির রায় কার্যকরও হয়েছে।

তবে বর্তমানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রসিকিউশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩৩৯টি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেস হয়েছে ২২টি। এসব মিস কেসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন। যাদের মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন ৫৪ জন, আর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ৮৭ জন।