Image description

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, তাদের দল চায় আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচন বিলম্বিত হলে তা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে দেশকে। বিশেষ করে আগামী বছরের জুন মাসে বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্বাচন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জামায়াত সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেখতে চায় সরকার তার কমিটমেন্টে অটল থাকে কিনা। তবে জামায়াতের অবস্থান হলো, নির্বাচনটি রমজানের আগেই সম্পন্ন করা উচিত।

ডা. শফিক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে তারা সংখ্যালঘু অধিকার, নারীর অধিকার এবং শ্রমিক অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ পুনর্বিবেচনার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামী দেশের গণতান্ত্রিক ধারা এবং দলীয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। অতীতেও দলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বও করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যখন দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রায় মৃতপ্রায় ছিল, তখন জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আজম কেয়ারটেকার সরকারের প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পুনর্জীবিত করেছিলেন, যা পরবর্তীতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা রাজনৈতিক স্বার্থে বাতিল করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী সেই কেয়ারটেকার পদ্ধতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথকে সুদৃঢ় করতে চান তারা।