Image description

সম্প্রতি ভারতে পাশ হয়েছে ওয়াকফ আইন। মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আইনটি বাতিলের দাবিতে পুরো ভারত এখন উত্তাল। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অত্যান্ত ভয়াবহ। কলকাতায় আইনটি বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে লাখো মুসলমান। আন্দোলনকারীদের সাথে ভারতীয় পুলিশের সংঘর্ষের পর কোথাও কোথাও তা রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। এই আন্দোলন সামাল দিতে না পেরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন যেনো অনেকটাই দিশেহারা।

 

ভারতে রয়েছে মুলমানদের বিপুল পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি যার বাজার মূল্য শত শত কোটি ডলার। আর পশ্চিমবঙ্গে মোট ৮০ হাজার ৪৮০টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। এই সম্পত্তিগুলো ৮২ হাজার একরের বেশি জমির উপরে। যখন কোনও ব্যক্তি মুসলিম আইনের আওতায় ধর্মীয় বা দাতব্য কারণে তার সম্পত্তি দান করেন, তখন সেটাকেই বলে ওয়াকফ সম্পত্তি। এর মধ্যে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, আশ্রয়কেন্দ্র বা শুধু জমি – সব কিছুই থাকতে পারে। ভারতে হিন্দু সমাজের মধ্যে এটাকে ‘দেবোত্তর সম্পত্তি’ বলে গণ্য করা হয়। ভারতে বসবাসকারী প্রায় ২০ কোটি মুসলিমের জন্য এই ওয়াকফ সম্পত্তির গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা বা কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানিপুরের জাফরাবাদে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুও ঘটেছে সুতিতে। এছাড়া সাজুর মোড় নামক স্থানে অবরোধ চলার সময় পুলিশের সঙ্গে জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ইজাজ আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয় পরে হাসপাতালে মারা যায় সে।

 

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাতভর এই বাহিনী সুতি, সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায় টহল দিয়েছে এসময় তল্লাশি অভিযানে ১৩৮ জনকে আটক করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে ওয়াকফ আইনের বিরোধীতা করতে দেখা গেছে ভারতীয় অনেক হিন্দুদেরও। মোদির বিপক্ষে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন অনেক ভারতীয় হিন্দুরাই। গুজরাঠের কসাইখ্যাত মোদি নিজ দেশে সংখ্যালঘূ নির্যাতন করে আর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যতনের অপতথ্য ছড়িয়ে বেড়ায় বিশ্বজুড়ে।