Image description

নতুন চমক আসছে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায়। হজযাত্রীদের লাগেজ হারানো ও অসুস্থ হওয়াসহ সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নজরদারি করতে ঢাকা ও সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় খোলা হবে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার। এই সেন্টার নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকায় বসে সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের মনিটর করা হবে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে সেই অ্যাপের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দেখভাল করা হবে।

কোনো হজযাত্রী বিপদে পড়লেই অ্যাপসের মাধ্যমে কল করে জানাতে পারবেন এই সেন্টারে। তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সব হজযাত্রীর মোবাইল ফোনের সিম রোমিং করে দেবে সরকার। স্বাভাবিক রোমিংয়ের তুলনায় এর খরচ সাশ্রয়ী করা হবে।

এর ফলে সৌদি আরবে গিয়ে হজযাত্রীদের নতুন করে সৌদি কম্পানির মোবাইল সিম কিনতে হবে না। এতে হাজিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার-পরিজনের যোগাযোগের সমস্যা দূর হবে। এ ছাড়া সৌদি আরবে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি কমাতে সব হজযাত্রীকে ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে, যাতে করে সৌদি আরবে গিয়ে হজযাত্রীরা এটিএম বুথ থেকে প্রয়োজনীয় রিয়াল তুলে খরচ করতে পারেন। 

হজ ব্যবস্থাপনায় আসছে চমকঅন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে এসব উদ্যোগের কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা হজ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই।’ প্রসঙ্গত, দেশে এক হাজার ২৭৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে হজ কার্যক্রমের জন্য যোগ্য এজেন্সি ৯৪১টি, হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সি ৭৫৩টি এবং লিড এজেন্সি ৭০টি। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর হজযাত্রীরা ঢাকার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সৌদি আরবের জেদ্দা-মক্কা-মদিনায় লাগেজসহ মূল্যবান জিনিস হারান।

শুধু লাগেজ নয়, অনেক সময় হজযাত্রী নিজেই পথ ভুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন নিজ নিজ হজ গ্রুপ থেকে। এমনকি খরচের টাকাও অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়। এতে করে বিপদে পড়েন সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীসহ তাঁর গাইড ও এজেন্সির প্রতিনিধি। এ নিয়ে দেশে অবস্থানরত সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সরকারকেও পড়তে হয় নানা জটিলতায়। এমন জটিলতা এড়াতে এবার উদ্যোগ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিককে হজযাত্রা সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ দেন। 

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় বেসরকারি এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব কী হবে, সেটি সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দেশেই একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশে বসেই সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা যায়। সরকারের দায়িত্ব হলো এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব পালন যেন সঠিকভাবে হয় তা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পুরো হজপ্রক্রিয়া হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট। সরকারের দায়িত্ব কী, এজেন্সির দায়িত্ব কীএসব সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে। কেউ হারিয়ে গেলে, অসুস্থ হয়ে পড়লে, লাগেজ হারিয়ে গেলে বা অন্য কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে করণীয় কী, কাকে জানাবে এটার সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে। হজযাত্রীদের প্রত্যেকের কাছে এই বুকলেট দিতে হবে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটাও উল্লেখ থাকতে হবে। কল সেন্টারে যেসব অভিযোগ আসবে, সেগুলো যেন সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং করা যায়। একটি ওয়েবসাইট করে দিতে হবে, যেখানে হজযাত্রীরা সবাই যুক্ত থাকবেন। তাঁরা তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। কেউ হারিয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁর লোকেশন খুঁজে পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য কল সেন্টারে কী ধরনের অভিযোগ আসছে সেগুলো মনিটরিং করতে হবে। কী ধরনের অভিযোগ আসছে, সেগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে। এর মধ্যে কতগুলো সুরাহা হলো, কতগুলো হলো না, সেই তথ্য থাকতে হবে। এই অভিযোগগুলো যেন পরের বছর না আসে সে জন্য আলোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

কোনো এজেন্সি দায়িত্ব পালন না করলে তার লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকে এজেন্সিগুলো রিভিউ করতে হবে। এজেন্সির প্রশিক্ষণ আছে কি না সেটা মনিটরিং করতে হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোকে , বি, সিডি ক্যাটাগরি করে ফেলতে হবে। এই ক্যাটাগরির মান পূরণে যে এজেন্সিগুলো ব্যর্থ হবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেবেন। হজযাত্রীরা যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন এবং কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হন, সে জন্য বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করতে হবে। প্রবলেম সলভিং ভিডিও হতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে, হারিয়ে গেলে, কোরবানি দিতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে করণীয় কী, এমন ভিডিও যাত্রীদের দেখিয়ে দিলে তাঁরা মনোবল পাবেন। প্রস্তুত থাকতে পারবেন।

জানতে চাইলে রাজধানীর হজ অফিসের পরিচালক (হজ) মো. লোকমান হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশের পরই মূলত হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার খোলা, অ্যাপস তৈরির কাজ শুরু ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। হজযাত্রীদের জন্য ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট কার্ড চালু ও লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যাগ কপি চালু করা হবে। লাগেজে এক ধরনের ইলেকট্রিক চিপ থাকবে; যা কল সেন্টারে বসে সার্চ দিলেই জানা যাবে লাগেজ কোথায় আছে। ডেবিট কার্ড চালু করে দিলে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে। দেশে ফেরার পর কার্ডে যে অর্থ থেকে যাবে সেটা নগদ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।

নতুন চমক আসছে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায়। হজযাত্রীদের লাগেজ হারানো ও অসুস্থ হওয়াসহ সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নজরদারি করতে ঢাকা ও সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় খোলা হবে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার। এই সেন্টার নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকায় বসে সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের মনিটর করা হবে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে সেই অ্যাপের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দেখভাল করা হবে। কোনো হজযাত্রী বিপদে পড়লেই অ্যাপসের মাধ্যমে কল করে জানাতে পারবেন এই সেন্টারে। তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সব হজযাত্রীর মোবাইল ফোনের সিম রোমিং করে দেবে সরকার। স্বাভাবিক রোমিংয়ের তুলনায় এর খরচ সাশ্রয়ী করা হবে। এর ফলে সৌদি আরবে গিয়ে হজযাত্রীদের নতুন করে সৌদি কম্পানির মোবাইল সিম কিনতে হবে না। এতে হাজিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার-পরিজনের যোগাযোগের সমস্যা দূর হবে। এ ছাড়া সৌদি আরবে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি কমাতে সব হজযাত্রীকে ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে, যাতে করে সৌদি আরবে গিয়ে হজযাত্রীরা এটিএম বুথ থেকে প্রয়োজনীয় রিয়াল তুলে খরচ করতে পারেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে এসব উদ্যোগের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা হজ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই।

প্রসঙ্গত, দেশে এক হাজার ২৭৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে হজ কার্যক্রমের জন্য যোগ্য এজেন্সি ৯৪১টি, হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সি ৭৫৩টি এবং লিড এজেন্সি ৭০টি। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর হজযাত্রীরা ঢাকার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সৌদি আরবের জেদ্দা-মক্কা-মদিনায় লাগেজসহ মূল্যবান জিনিস হারান। শুধু লাগেজ নয়, অনেক সময় হজযাত্রী নিজেই পথ ভুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন নিজ নিজ হজ গ্রুপ থেকে। এমনকি খরচের টাকাও অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়। এতে করে বিপদে পড়েন সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীসহ তাঁর গাইড ও এজেন্সির প্রতিনিধি। এ নিয়ে দেশে অবস্থানরত সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সরকারকেও পড়তে হয় নানা জটিলতায়। এমন জটিলতা এড়াতে এবার উদ্যোগ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিককে হজযাত্রা সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ দেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় বেসরকারি এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব কী হবে, সেটি সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দেশেই একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশে বসেই সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা যায়। সরকারের দায়িত্ব হলো এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব পালন যেন সঠিকভাবে হয় তা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পুরো হজপ্রক্রিয়া হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট। সরকারের দায়িত্ব কী, এজেন্সির দায়িত্ব কীএসব সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে। কেউ হারিয়ে গেলে, অসুস্থ হয়ে পড়লে, লাগেজ হারিয়ে গেলে বা অন্য কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে করণীয় কী, কাকে জানাবে এটার সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে। হজযাত্রীদের প্রত্যেকের কাছে এই বুকলেট দিতে হবে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটাও উল্লেখ থাকতে হবে। কল সেন্টারে যেসব অভিযোগ আসবে, সেগুলো যেন সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং করা যায়। একটি ওয়েবসাইট করে দিতে হবে, যেখানে হজযাত্রীরা সবাই যুক্ত থাকবেন। তাঁরা তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। কেউ হারিয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁর লোকেশন খুঁজে পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য কল সেন্টারে কী ধরনের অভিযোগ আসছে সেগুলো মনিটরিং করতে হবে। কী ধরনের অভিযোগ আসছে, সেগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে। এর মধ্যে কতগুলো সুরাহা হলো, কতগুলো হলো না, সেই তথ্য থাকতে হবে। এই অভিযোগগুলো যেন পরের বছর না আসে সে জন্য আলোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

কোনো এজেন্সি দায়িত্ব পালন না করলে তার লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকে এজেন্সিগুলো রিভিউ করতে হবে। এজেন্সির প্রশিক্ষণ আছে কি না সেটা মনিটরিং করতে হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোকে , বি, সিডি ক্যাটাগরি করে ফেলতে হবে। এই ক্যাটাগরির মান পূরণে যে এজেন্সিগুলো ব্যর্থ হবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেবেন। হজযাত্রীরা যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন এবং কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হন, সে জন্য বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করতে হবে। প্রবলেম সলভিং ভিডিও হতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে, হারিয়ে গেলে, কোরবানি দিতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে করণীয় কী, এমন ভিডিও যাত্রীদের দেখিয়ে দিলে তাঁরা মনোবল পাবেন। প্রস্তুত থাকতে পারবেন।

জানতে চাইলে রাজধানীর হজ অফিসের পরিচালক (হজ) মো. লোকমান হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশের পরই মূলত হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার খোলা, অ্যাপস তৈরির কাজ শুরু ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। হজযাত্রীদের জন্য ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট কার্ড চালু ও লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যাগ কপি চালু করা হবে। লাগেজে এক ধরনের ইলেকট্রিক চিপ থাকবে; যা কল সেন্টারে বসে সার্চ দিলেই জানা যাবে লাগেজ কোথায় আছে। ডেবিট কার্ড চালু করে দিলে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে। দেশে ফেরার পর কার্ডে যে অর্থ থেকে যাবে সেটা নগদ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।