রাজনীতিবিদ রিতা রহমান তার বক্তব্যে ভারতীয় মিডিয়া, বিশেষ করে রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তার মতে, এই চ্যানেলগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো এখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়নি। তবে তিনি এটিকে "বিপ্লব" আখ্যা দেন, কারণ এতে তরুণদের আত্মত্যাগ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম জড়িত। তিনি স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জানে, কে তাদের শোষণ করেছিল এবং কারা তাদের প্রকৃত বন্ধু।
রিতা রহমান উল্লেখ করেন, ড. ইউনুসের চীন সফরের পর তার ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি বলেন, "ড. ইউনুসের মতো বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে ভারতীয় মিডিয়া অশালীনভাবে আক্রমণ করছে, যা তাদের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়।" তিনি আরও যোগ করেন, ড. ইউনুসের "সেভেন সিস্টার্স" (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য) নীতির কারণে ভারত আতঙ্কিত। ইউনুসের প্রস্তাব ছিল , এই অঞ্চলগুলো বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সুবিধা নিক, যা ভারতের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশে "ইসলামী উগ্রবাদের বিস্তার" নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে, তা নিয়ে রিতা রহমান সন্দেহ প্রকাশ করেন। তার মতে, এটি একটি "পেইড আর্টিকেল", যা বিশেষ মহলের নির্দেশে লেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারাও বারবার বলেছেন যে তারা এখানে নিরাপদ। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করতে চায়।"
রিতা রহমান ভারতের দ্বিচারিতামূলক নীতির সমালোচনা করে বলেন, "ভারত ৭১-এ আমাদের সহায়তা করলেও পরে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করেছে। পানিসহ সব কিছুর উপর উপর তাদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল। এখন বাংলাদেশ যখন স্বনির্ভর হচ্ছে, তখন তারা হতাশ।"
তিনি রিপাবলিক টিভিকে "গোপালগঞ্জবাসীদের টার্গেট করে তৈরি একটি প্রোপাগান্ডা মেশিন" বলে আখ্যায়িত করেন। তার মতে, এই চ্যানেলের মূল দর্শক বাংলাদেশের
............................................
ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় গালাগালি! নেপথ্যে কু’খ্যাত র এর ভয়াবহ ষড়যন্ত্র: রিতা রহমান
রাজনীতিবিদ রিতা রহমান তার বক্তব্যে ভারতীয় মিডিয়া, বিশেষ করে রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তার মতে, এই চ্যানেলগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
রিতা রহমান দাবি করেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (RAW) সরাসরি কিছু ভারতীয় মিডিয়াকে স্পনসর করে, যেগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, "এই চ্যানেলগুলো শুধু প্রোপাগান্ডাই করে না, বরং একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে টার্গেট করে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।"
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো এখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়নি। তবে তিনি এটিকে "বিপ্লব" আখ্যা দেন, কারণ এতে তরুণদের আত্মত্যাগ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম জড়িত। তিনি স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জানে—কে তাদের শোষণ করেছিল এবং কারা তাদের প্রকৃত বন্ধু।
রিতা রহমান উল্লেখ করেন, ড.ইউনূসের চীন সফরের পর তার ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি বলেন, "ড. ইউনুসের মতো বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে ভারতীয় মিডিয়া অশালীনভাবে আক্রমণ করছে, যা তাদের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়।" তিনি আরও যোগ করেন, ড. ইউনূসের "সেভেন সিস্টার্স" (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য) নীতির কারণে ভারত আতঙ্কিত। ইউনুসের প্রস্তাব ছিল , এই অঞ্চলগুলো বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সুবিধা নিক, যা ভারতের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশে "ইসলামী উগ্রবাদের বিস্তার" নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে, তা নিয়ে রিতা রহমান সন্দেহ প্রকাশ করেন। তার মতে, এটি একটি "পেইড আর্টিকেল", যা বিশেষ মহলের নির্দেশে লেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারাও বারবার বলেছেন যে তারা এখানে নিরাপদ। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করতে চায়।"
রিতা রহমান ভারতের দ্বিচারিতামূলক নীতির সমালোচনা করে বলেন, "ভারত ৭১-এ আমাদের সহায়তা করলেও পরে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করেছে। পানিসহ সব কিছুর উপর উপর তাদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল। এখন বাংলাদেশ যখন স্বনির্ভর হচ্ছে, তখন তারা হতাশ।"
তিনি রিপাবলিক টিভিকে "গোপালগঞ্জবাসীদের টার্গেট করে তৈরি একটি প্রোপাগান্ডা মেশিন" বলে আখ্যায়িত করেন। তার মতে, এই চ্যানেলের মূল দর্শক বাংলাদেশের কিছু মানুষ, যাদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা অর্থায়ন করে।
সূত্র:https://youtu.be/jsIZjL5CNRQ?si=23kz_f0WIczYNa7i
