
লম্বা ছুটির ঘোষণাতেই রাঙা হতে শুরু করে যে উৎসব, তা পূর্ণতার ডানা মেলতে থাকে আকাশে এক ফালি চাঁদ দেখতে পাওয়ার খবরের পর থেকেই। এক মাস রোজার পর আনন্দের বারতা নিয়ে বাংলাদেশে আবার এল খুশির ঈদ।
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব সোমবার উদযাপনে প্রস্তুত সারাদেশ; সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দীর্ঘ ছুটিতে গ্রামে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছেও গেছেন মানুষ। নগরী ও শহরে যারা রয়ে গেছেন তারাও দীর্ঘ অবকাশে পরিবার, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
আগের রোজার ঈদে ছুটি ছিল ছয় দিনের, সঙ্গে যোগ হয়েছিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপলক্ষ। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণায় অন্তত ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। আবার ২৬ মার্চের বন্ধের পর যারা বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে পেরেছেন তারা পেয়েছেন আরও দুদিন বেশি।
এ লম্বা ছুটি আর মহাসড়কগুলোর বাকি থাকা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ফলে এবার স্বস্তি আর নির্বিঘ্নে গ্রামে ফিরতে পেরেছেন ঘরমুখো লাখো মানুষ। শেষ সময়েও রাজধানী ছেড়েছেন অনেকে; ফাঁকা হয়ে গেছে সদাব্যস্ত ঢাকার সড়ক।

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন তাদের মত লাখো ঢাকাবাসী।
মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় বছর কয়েক ধরে সীমিত আয়ের মানুষের ব্যয় সাশ্রয়ের অভ্যাসের মধ্যে এসেছে এবারের ঈদ। যে কারণে ঈদের কেনাকাটায় পরিবারের সবার মনও হয়ত ভরে ওঠেনি। তবু এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখার খবরে ঈদের আনন্দে সেই মন খারাপের ভার কেটে গেছে। উৎসবের আয়োজনের শেষ প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন সবাই।
চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঠিক থাকায় কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে এবারের রোজায় অনেকটা স্বস্তি ছিল নিত্যপণ্যের বাজারেও। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে বছরের সবচেয়ে বড় এই বিক্রির মৌসুমে ঈদুল ফিতরে বিকিকিনিতে ভাটা পড়ার কথা বলেছেন ব্যবসায়ীরা।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অনেক স্থানে একদিন আগেই ঈদ উদ্যাপন করা হয়েছে। রোববার ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময়ের এমন চিত্র দেখা যাবে সোমবার দেশজুড়েই।
ঈদ উদযাপন ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয় ঈদগাহের পাশাপাশি এবার আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠেও বড় পরিসরে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। ওই ঈদ জামাতের পর এবার নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে ঈদ আনন্দ মিছিল ও ঈদ আনন্দমেলা।
নানা সংকট আর মুল্যস্ফীতির ধাক্কায় গত বছর বিকিকিনিতে মন্দা ভাব চলার কথা বলেছিলেন ব্যবসায়ীরা; এবার তার চেয়েও বিক্রি কম বলে ভাষ্য তাদের।
রোজার মধ্যে ছুটির দিনগুলোতে অনেক বিপণিবিতানে ভিড় থাকলেও কোথাও বিক্রেতা কম হওয়ার আফসোস ঝরেছে বিক্রেতাদের কণ্ঠে। অন্যদিকে দাম বেশি হওয়ার কথা বলেছেন ক্রেতারা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ছবি: সুমন বাবু
মিরপুর ১১ নম্বরের মোহাম্মদীয়া মার্কেটে পোশাক কিনতে এসে দাম শুনে ফিরে যাচ্ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মী নিলয় আহমেদ। কারণ, সেখানকার সব থ্রিপিসের দামই তিন হাজার টাকার উপরে। পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি; স্ত্রীকে ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য মার্কেটে ঘুরছেন তিনি। তবে দামে মিলছে না।
“বিয়ের পর তো রেসপনসিবিলিটি বাড়ে, পোশাকের দামও বাড়ছে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজেটে হচ্ছে না। দুই হাজারের মধ্যে কাপড় খুঁজছিলাম, পাচ্ছি না। দেখি অন্য কোথাও পাই কি না।” বিকিকিনি কমের পেছনে ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতিও যে ভূমিকা রেখেছে, তা উঠে এসেছে বিক্রেতাদের কথায়।
পাঞ্জাবির ব্যান্ড লুবনানের বসুন্ধরা সিটি আউটলেটের বিক্রয়কর্মী সাহরিফ হাসান তানিম বলেন, “বিভিন্ন সংকটের কারণে মানুষের হাতে টাকা নেই। আগে রাজনৈতিক লোকজন একসঙ্গে ৩০০ পিসও অর্ডার করে নিয়ে যেত। এবার এমন একজনও আসেননি।

“আমাদের পাঞ্জাবির দাম এমনিতেই একটু বেশি। সব ধরনের কাস্টমার আমাদের দোকানে আসে না। সব মিলিয়ে এবার বেচাকেনা কম।”
ঈদ কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এবার ২০ শতাংশ কম লেনদেন হওয়ার একটা আনুমানিক তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
তার তথ্য মতে, ইফতার-সেহরি, পোশাক এবং অন্যান্য খাতে ২০২৪ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ বছর ২০ শতাংশ কমে হয়েছে ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। পোশাকের বাজারে প্রত্যাশিত ৩৮ হাজার কোটি টাকার জায়গায় ২০-২২ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার আনুমানিক তথ্য দেন এই ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, “ঈদের কেনা কাটায় যারা অনেক অর্থ ব্যয় করতেন তাদের অনেকে এখন আত্মগোপনে। ফলে কেনাকাটা কিছু কম হয়েছে।

“অন্যদিকে বিদেশি গার্মেন্টস ও প্রসাধনী পণ্য আমদানি কম হওয়ায় দেশীয় পণ্য বিক্রি বেড়েছে, যা আমাদের জন্য সুখবর। এবারের রমজানে যেহেতু দেশীয় পণ্য বেশী বিক্রয় হয়েছে, তাতে আমাদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি আছে।”
বাস, ট্রেন ও লঞ্চ- সব বাহনেই এবার স্বস্তিতে বাড়ির পথ ধরেছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদের সময়ে যে দুর্ভোগ থাকে, সেটা এবার স্মৃতি হয়ে যাওয়ার কথাই বলেছেন কেউ কেউ। একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা শফিউর রহমান রাজধানীর আরামবাগ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত গেছেন দুই ঘণ্টায়। এমন ঘটনা গত এক দশকের ঈদযাত্রায় দেখেননি বলে বিস্ময়ের ঘোর কাটছিল না তার।
“যা ঘটেছে তা বিশ্বাসই হচ্ছে না। লাইফে এত নিবির্ঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারিনি কখনও। আরামবাগ থেকে কুমিল্লা একটানে মাত্র দুই ঘণ্টায় চলে এলাম। এরমধ্যে ইফতারের সময় ছিল ৪০ মিনিট। গত ১০ বছর কখনও এমন হয়নি।“
অবাক করা শুক্রবারের এই যাত্রার বর্ণনা এভাবেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন শফিউর। বলেন, “কোনো বছর জ্যাম কমবেশি ছিল। আমার মনে হয় এবার প্রশাসন বেশ অ্যাক্টিভ ছিল। আসার পথে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের গাড়ি দেখেছি।”

তার কথার প্রতিধ্বনি মিলল হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেনের কথায়। বলছিলেন গত ৪০ বছর এমন ঈদযাত্রা দেখেননি তিনি।
শনিবার তিনি বলেন, ঈদের ছুটি শুরু কার্যত ২৫ মার্চ রাত থেকেই। লম্বা ছুটির কারণে মানুষকে একসঙ্গে যেতে হয়নি। এর প্রভাব পড়েছে সড়কে।
“আমার ৪০ বছরের চাকরিজীবনে ঈদের আগে এত লম্বা ছুটি দেখিনি। মানুষ ধীরে ধীরে সুবিধামত বাড়ি যেতে পারছেন। এ কারণে সড়কেও গাড়ির চাপ কম। তবে ঢাকা ছেড়ে নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজটে পড়তে হয়েছে। শুক্রবারও ওই রাস্তা পার হতে ৭-৮ ঘণ্টা লেগেছে। আজ (শনিবার) আবার যানজট খুব একটা নেই।”
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেছেন, “আশা করি ঈদের সময়, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের বাড়িতে যেতে পারবেন এবং আপনাদের পরিবারের সাথে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করবেন।”
তিনি দেশের জনগণকে তাদের আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করার, দরিদ্র পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার এবং তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার আহ্বান জানান।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। এ জামাতে ইমামিত করেন পীরজাদা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
ঈদের নামাজের সময় যেকোনো মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, ‘পরাজিত শক্তির সকল উস্কানির’ মুখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “সকলের জীবন অর্থপূর্ণ ও আনন্দে ভরে উঠবে।“ ঈদের ছুটিতে শুক্র ও শনিবার দুই দিনে চার মোবাইল অপারেটরের প্রায় ৪১ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। ‘মোবাইল সিম মবিলিটির’ হিসাব তুলে ধরে এ তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
দেশের তিন বিভাগ ও চার জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে সেটি রোববার থেকে কমে আসতে পারে; তাই ঈদের দিনের আবহাওয়া ‘ভালোই থাকবে’ বলে আশা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কখন কোথায় ঈদ জামাত
বরাবরের মত এবারও রাজধানীতে রোজার ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে হবে পাঁচটি জামাত।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবার বঙ্গভবনের মসজিদে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। জাতীয় ঈদগাহে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদগাহের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্বারী হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
প্রধান ঈদ জামাতের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে হাই কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিরাপত্তার আয়োজন দেখে আশ্বস্ত করেছেন। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে ঈদগাহের জামাত না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হবে। এবার ঈদের দিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস, পাশাপাশি গরমের তেজও কিছুটা কমে আসতে পারে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী কোনো ব্যাগ, ধারালো বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে ঈদ জামাতে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। জামাত শেষে তাড়াহুড়া না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছরের মত এবারও ঈদের দিন পাঁচটি জামাত হবে ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে। সকাল ৭টায় প্রথম জামাতে পর এক ধণ্টা পর পর আরও তিনটি জামাত হবে। এরপর পঞ্চম জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।
প্রতি বছর দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে। এবার সেখানে হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৮তম জামাত। সকাল ১০টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহ।
ঈদের এ জামাতে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বরাবরের মতই শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। একটি ঈদের দিন সকাল ৫-৪৫ মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে এবং আরেকটি ট্রেন সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে কিশোরগঞ্জে আসবে। ঈদের জামাত শেষে দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ফিরে যাবে।
সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনে কয়েক বছর ধরে শোলাকিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ২২ একর আয়তনের এ মাঠে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ সেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন।
সকাল ৯টায় এ ময়দানে ঈদের জামাত হবে। ইমামতি করবেন মাওলানা মতিউর রহমান কাশেমী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৯টায় দুটি জামাত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের লনে এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় দুটি জামাত হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এবার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে (পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে। বলা হচ্ছে এটাই হবে ঢাকার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত। সেখানে নামাজ শেষে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচি রেখেছে উত্তর সিটি।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় (টানেলের নিচে) জামাত হবে সকাল ৮টায়। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে মোট ১১১টি ঈদগাহে এবং ১ হাজার ৫৭৭টি মসজিদে ১ হাজার ৭৩৯টি ঈদ জামাত হবে। চট্টগ্রামে এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। আধা ঘণ্টা পর হবে দ্বিতীয় জামাত।