
‘ফ্যাসিবাদী শাসনের’ কারণে চাঁদা দেওয়াকে অনেকে দায়িত্ব মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে শত সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলছি, সেখানেও পূর্বের মত বিভিন্ন উপায়ে চাঁদাবাজির মত ঘটনাগুলো চলমান আছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে এমন একটা পরিস্থিতিতে চলে এসেছি, অনেকে চাঁদা দেওয়াকে দায়িত্ব মনে করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “কেউ একটা টোকেন ধরিয়ে দিলে, আমাকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হবে। আবার যারা চাঁদা নেয় তারা মনে করে এটা তার অধিকার। কারণ দীর্ঘদিন ধরে তো এভাবেই চলে আসছে, এখন কেন চলবে না।
“চাঁদাবাজদের স্পষ্ট করে একটা বার্তা দিতে চাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পূর্ববর্তী কোনো প্র্যাকটিস আর বরদাস্ত করা হবে না।”
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চায়, যেভাবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য সংগ্রাম করেছেন, ঠিক সেভাবে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কোনও ধরনের চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা বা যেসব বিষয়গুলো তরুণদের ধ্বংস করছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“সারাদেশের তরুণ সমাজকে আহ্বান জানাতে চাই, যেখানেই চাঁদাবাজি দেখবেন, বিভিন্ন সমিতির নামে টোকেনের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেখানেই প্রতিবাদ করবেন এবং রুখে দেবেন।”
মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় কুমিল্লাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে তিনটি ইভেন্টে কয়েকশত প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় ১৬ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। পরে সেখান থেকে নয়জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ল্যাপটপ তুলে দেন আসিফ মাহমুদ।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার, পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উবায়দুল হক সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।