Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশত্যাগ করেছেন নগরের মেয়র ও কাউন্সিলররা। জনপ্রতিনিধিদের স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমলাদের। নিয়ম না মেনে নগর ভবনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলি আর পদোন্নতি যেন থামছে না। আবার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও নগরভবনে কর্মকর্তাদের রুমে রুমে এসে এখনও বিশৃঙ্খলা করছেন। এসবের মধ্যে রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আদায় তলানিতে। তাই রাজস্ব আদায় বাড়াতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরে নগরীতে লিফলেট বিতরণ আর বকেয়া আদায় করতে জোরদার অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। 

এবার বকেয়া আদায় করতে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে বকেয়া পৌর কর, কর্পোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে।

ডিএসসিসির রাজস্ব আয়ের খাতওয়ারী দাবি ও আদায়ের বিবরণী থেকে সূত্রে জানা যায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা, আদায় করেছে ৫৪৬ কোটি টাকা। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, জানুয়ারিতে এ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৪৯৮ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৮ কোটি টাকা আদায় কম। 

করপোরেশন সূত্রে আরও জানা যায়, করপোরেশন রাজস্ব আদায় বাড়াতে ঈদুল ফিতরের পরে লিফলেট বিতরণ এবং বকেয়া আদায়ে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

করপোরেশনের লিফলেটে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন একটি স্ব-শাসিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান নগরবাসী কর্তৃক প্রদেয় পৌরকর, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য ফি-এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। 

এতে বলা হয়েছে, করদাতাগণ কর্তৃক প্রদেয় কর বকেয়া থাকলে নগরের উন্নয়নসহ দৈনন্দিন পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হয়। এ লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সকল ধরনের বকেয়া ও হাল কর আদায়ে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে বকেয়া কর আদায়ের জন্য ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে বকেয়া পৌরকর, করপোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে। তাই, নগরবাসীকে দ্রুত বকেয়া ও হাল সনের পৌরকর, দোকান ভাড়া ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে নগর উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানায় করপোরেশন।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সমকালকে বলেন, গণঅভ্যত্থানের পর রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ভাটা পরেছে। আবার অনেকের দীর্ঘদিনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্সের ভাড়া বকেয়া। বকেয়া এই রাজস্ব আদায়ে করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রথমে লিফলেট বিতরণ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। এর সঙ্গে রাজস্ব উত্তোলনে জোরদার অভিযানে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে পৌরকর সমন্বয় করা হবে।