জাতীয় নাগরিক কমিটি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায়। খুব শিগগিরই আমরা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াব।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে আর দল বা মার্কার ভিত্তিতে ভোট দেওয়া হবে না। মানুষ এখন ভোট দেওয়ার সময় বিচার করবে, কোন বক্তা কীভাবে কথা বলেন, কার কাজ কেমন, এবং বক্তৃতার সঙ্গে কাজের মিল কেমন। এইসব বিষয় বিবেচনা করেই তারা ভোট প্রদান করবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে দেবীগঞ্জ বিজয় চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভায় সারজিস আলম বলেন, "এতদিন ধরে বাংলাদেশে নানা ধরনের অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, মিথ্যা মামলা, হয়রানি, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য দেখেছি। এসবের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সবসময় প্রতিবাদ জানাবো। যেখানে এসব ঘটবে, আমরা সেখানে প্রতিহত করবো। আমরা শুধু কথা বলে নয়, কাজ করে দেখাতে চাই। আমরা খুব শিগগিরই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আপনাদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাবো।"
তিনি বলেন, "যারা সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে ভোটের আগের দিন ভোট চায়, পরে ভিজিএফ কার্ড বা বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে হাত পেতে বসে থাকে, তারা আর চলবে না। এই নতুন বাংলাদেশে এসব হতে দেওয়া যাবে না। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ না করে সাধারণ মানুষকে লুটপাট করবে, তাদের আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। পাঁচ বছরে একদিন যদি তারা আপনার কাছে কিছু দেয়, তবে বাকি পাঁচ বছর তারা আপনার রক্ত চুষবে। এই সুযোগ আর কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি বা মন্ত্রীকে দেওয়া যাবে না।"
সারজিস আলম আরও বলেন, "আমরা আপনাদের সন্তানের মতো, ভাইয়ের মতো, অথবা নাতির মতো। আমরা যদি কোনো ভুল করি, তাহলে আপনারা আমাদের সংশোধন করবেন। আমরা সবসময় আপনাদের কথা শুনতে প্রস্তুত। তবে আপনাদের থেকে একটাই অনুরোধ—এখন থেকে কোনো দলের বা মার্কার অন্ধ ভক্ত হওয়া যাবে না। যদি আপনারা অন্ধ ভক্ত হন, তাহলে আপনার মূল্য কেউ দেবে না। মনে করবেন, কিছু দিলেও আছে, না দিলেও আছে। এখন আর সে দিন নেই।"
তিনি বলেন, "যদি সে দিন থাকত, তাহলে হাসিনা এত বড় আন্দোলনের সামনে দাঁড়িয়ে দেশ ছেড়ে পালাত না। আপনারা মনে রাখবেন, আপনার সন্তানরা এখন তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। আপনার সন্তানরা এখন যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সর্বদা প্রস্তুত।"
