
ভারতের পুনেতে স্ত্রী স্বরূপা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। এমন সন্দেহের মূল্য দিলো ওই দম্পতির সাড়ে তিন বছর বয়সী ছেলে। মাধব টিকেতি তার ওই ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এরপর মৃতদেহ এক জঙ্গলের ভিতরে ছুড়ে যারে। পরে মাধবকে একটি লজে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে পুনের চন্দননগর এলাকায়।উল্লেখ্য, মাধব টিকেটি ও তার স্ত্রী স্বরূপার একমাত্র ছেলে হিমান্ত মাধব টিকেতি। তাদের আদি আবাস অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমে। পুলিশ বলেছে, স্বরূপা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত বলে সন্দেহ হয় মাধবের। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝগড়া হয়। স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ ও ক্ষোভ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান মাধব। সঙ্গে নিয়ে যান ছেলেকে। এরপর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একটি বার-এ বসে কাটান মাধব।
এক পর্যায়ে ছুটে যান সুপারমার্কেটে। সেখান থেকে চন্দননগরের কাছে একটি জঙ্গলের দিকে যাত্রা করেন। যোগাযোগহীন কেটে যায় অনেক ঘন্টা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন স্বরূপা। রাতের শেষের দিকে তিনি চন্দননগর পুলিশ স্টেশনে যান স্বামী ও সন্তান নিখোঁজের রিপোর্ট করতে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করে পুলিশ। তারা তাতেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যায়। দেখা যায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল আড়াইটার দিকে ছেলের সঙ্গে মাধবকে। কিন্তু বিকেল ৫টার দিকে তাকে একা দেখা যায়। এ সময় তিনি পোশাক কিনছিলেন। তার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে। তারা দেখতে পায় তিনি একটি লজে অবস্থান করছেন। এ সময় মাধব ছিলেন মদ্যপ। একপর্যায়ে চেতনা ফিরে পান তিনি। স্বীকার করেন নিজের ছেলেকে হত্যা করেছেন। জঙ্গলের কাছে ক্রাইম সিন’কে শনাক্ত করে পুলিশ। সেখানেই মাধব তার ছেলের গলা কেটে হত্যা করেছে। ছেলেটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আরও তদন্ত অব্যাহত আছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।