Image description

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, '১৪০০ ডাকাত আতঙ্ক মহাসড়কে'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতির কারণে ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।

প্রায় ১,৪০০ ডাকাতের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জামিনে মুক্তি পাওয়া ডাকাতদেরও নজরদারিতে রেখেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বিগত সময়ের তুলনায় মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা কমেছে এবং অসংখ্য পেশাদার ডাকাত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-রংপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

এসব মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে ডাকাতির সঙ্গে বেশ কয়েকটি ডাকাত চক্র জড়িত।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২১৪টি চেকপোস্ট এবং ৮০৩টি টহল টিমের ব্যবস্থা করেছে।

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং রাতে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এছাড়া বাস ট্রাক মালিকরা জানান, ডাকাতি থেকে সতর্ক থাকতে তারা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং গাড়িতে টিকিট ছাড়া অপরিচিত কাউকে উঠানোর বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির ঘটনা বর্তমানে কমে গেছে এবং তারা ডাকাতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

আজকের পত্রিকা
ছবির ক্যাপশান,আজকের পত্রিকা

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'ঢাকা থেকে বের হতেই পথে ভোগান্তির ভয়'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা থেকে ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে যাত্রীরা বড় ধরনের যানজটের মুখে পড়তে পারেন।

ঢাকা থেকে বের হওয়া সড়কগুলোতে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য প্রধান মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

গাবতলী, আমিনবাজার, বাইপাইল, কাঁচপুর ব্রিজ, যাত্রামুড়া ব্রিজ, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যানজট হতে পারে। কারণ মহাসড়কগুলোতে উন্নয়ন কাজ চলছে এবং অনেক স্থানে সড়কের কাজ চলছে।

সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তবে যানজট কিছুটা কমানোর জন্য বিশেষ মনিটরিং করা হবে।

ঈদের সময় গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়ে, ফলে যানজটের পরিমাণ বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সঠিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট থা, তবে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।

এবার প্রায় এক কোটি মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষ সড়কপথে ভ্রমণ করবে।

তবে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি এড়ানো সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

দেশ রূপান্তর
ছবির ক্যাপশান,দেশ রূপান্তর

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'সুযোগে ছদ্মবেশে সক্রিয় আরসা'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বাংলাদেশে ছদ্মবেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

তারা সাধারণ রোহিঙ্গা সেজে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আরসার একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত।

তাদের সঙ্গী মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনও বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ময়মনসিংহ এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন পরিচয়ে দেশে লুকিয়ে ছিল।

তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরসার সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অস্ত্র ও মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে এবং মানবপাচারেও জড়িত।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন তাদের তৎপরতা বন্ধ করতে অভিযান চালাচ্ছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও আরসা সদস্যদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।

আরসার শীর্ষ নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী এবং তার সহযোগীরা ছদ্মবেশে দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টার
ছবির ক্যাপশান,দ্য ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Bureaucracy falters without clear direction' অর্থাৎ, 'স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছাড়াই থমকে যাচ্ছে আমলাতন্ত্র'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হলেও প্রায় সাত মাস পরও সিভিল সার্ভিসে এক ধরনের নিষ্ক্রিয়তা বিরাজ করছে।

সরকারের প্রতি উচ্চ প্রত্যাশা থাকলেও প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো থমকে রয়েছে।

সিভিল সার্ভিস কর্মীরা অভিযোগ করছেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে, যার কারণে প্রশাসন থমকে গেছে।

তারা বলছেন, যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো পরিচালনা করছেন, তাদের কোনো দায়িত্ববোধ বা উদ্যম নেই, কারণ তাদের কোনো প্রমোশনের সুযোগ নেই।

এর ফলে প্রশাসনিক নির্দেশনা দিয়ে যা কিছু পরিবর্তন সম্ভব ছিল তা স্থবির হয়ে পড়েছে।

অনেকে মনে করেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত সংস্কারগুলো খুব সহজেই করা যেত, কিন্তু সেগুলোও থেমে আছে।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস একবারও সচিব পর্যায়ের সভা করেননি। নিয়মিত পরিদর্শন বা মিটিংয়ের অভাব রয়েছে, যেসব কারণে প্রশাসনের উদ্যম হারিয়ে ফেলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনে এখন নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে যেখানে রাজনৈতিক প্রাধান্য বেশি এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে দুর্বলতা রয়েছে।

পত্রিকা
ছবির ক্যাপশান,সমকাল

সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগে তৎপরতা বিএনপির 'না''

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারের মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

দলটি প্রশাসক নিয়োগের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করছে বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছে, তাদের মতে এটি এনসিপির সুবিধার জন্য এবং তারা এটি মানবে না।

এনসিপির নেতারা দাবি করছেন যে, তারা সিটি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন, তবে কোনো অপকর্ম বা লেনদেনের অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন।

বিএনপি তাদের অবস্থানে দৃঢ় রয়েছে যে, সিটি ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগ বিধিসম্মত নয় এবং তারা এতে সাড়া দেবে না।

এছাড়া, বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো অভিযোগ করছে যে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে এনসিপি তৃণমূল সংগঠন তৈরি করতে চাইছে এবং এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে তাদের নির্বাচনি সুবিধা এনে দেবে।

সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি এবং প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা চলছে।

বিএনপির নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তারা সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেবে না।

প্রথম আলো
ছবির ক্যাপশান,প্রথম আলো

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'দুবাই থেকে অবৈধভাবে এসেছে ৩২ হাজার কোটি টাকার সোনা'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুবাই থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সোনা আসছে, যার মূল্য প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রচুর সোনা রপ্তানি করে। তবে বাংলাদেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী বৈধ আমদানি খুবই কম।

২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে আমিরাত ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের সোনা বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে শুধু ৮২ লাখ ডলার মূল্যের সোনা আমদানি হয়েছে।

এই বিপুল পরিমাণ সোনা অবৈধভাবে দেশে আসছে, যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং অপরাধী চক্রের কাজে ব্যবহার হচ্ছে।

সোনা আসে তিনটি পথে; যাত্রীদের মাধ্যমে, বৈধ আমদানির মাধ্যমে এবং অবৈধভাবে। যাত্রীদের মাধ্যমে আনা সোনার পরিমাণও বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।

২০২৩ সালে প্রায় ৮৮৪ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হয়, এর থেকে অনেক বেশি অবৈধভাবে দেশে প্রবাহিত হচ্ছে।

এই অবৈধ সোনা ভারতে পাচার হয় এবং দেশে এর ব্যবহার আইনগতভাবে যাচাই করা কঠিন।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, অবৈধ সোনা বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে।

বণিক বার্তা
ছবির ক্যাপশান,বণিক বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পারফিউম ব্যবসার আড়ালে একটি বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে।

সিলেটের ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসিরের মালিকানাধীন আল হারামাইন পারফিউমস কোম্পানির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছিল।

নাসিরের ব্যবসা বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তৃত এবং তার কোম্পানির শোরুমগুলো হুন্ডি লেনদেনের কাজে ব্যবহার হচ্ছিল।

সিআইসি সম্প্রতি ইউএইতে গিয়ে তার সম্পদ এবং অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেছে, পাশাপাশি সিলেটে তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।

নাসিরের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে।

এনবিআরের তদন্ত অনুযায়ী, আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমগুলোতে হুন্ডির মাধ্যমে বড় অংকের টাকা লেনদেন হত এবং এর আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানও চলত।

বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার ব্যবসার বিস্তৃতি রয়েছে।

নাসিরের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ থাকলেও, তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তার ব্যবসা আইনসঙ্গত এবং তিনি কখনো হুন্ডি করেননি।

কালের কণ্ঠ
ছবির ক্যাপশান,কালের কণ্ঠ

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারের পরিমাণ বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শিথিলতায় মাদক ব্যবসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসে মাদকসেবীর সংখ্যা অন্তত ২০ লাখ বেড়েছে, যার ফলে মাদক ব্যবসা এবং অর্থপাচারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৩ সালে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয় মাদক ব্যবসার মাধ্যমে।

মাদক সেবন এখন প্রকাশ্যে ঘটছে এবং এর নিয়ন্ত্রণে সরকার তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অব্যবস্থাপনা ও পুলিশের শিথিলতার কারণে সারা দেশে মাদক সেবন বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই এবং মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

তরুণদের মধ্যে মাদক ব্যবহার অনেক বেশি এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এতে জড়িত। পুলিশ ও সীমান্তে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।

মাদক ব্যবহারের কারণে সামাজিক অবক্ষয় ও পারিবারিক বন্ধন ভেঙে পড়ছে যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউ এজ
ছবির ক্যাপশান,নিউ এজ

নিউ এজের প্রধান শিরোনাম, 'Prices vary for same meds' অর্থাৎ 'একই ওষুধের দাম ভিন্ন'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে একই জেনেরিক ওষুধের দাম এক থেকে আরেক প্রস্তুতকারকের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, যা সরকারের মূল্য নিয়ন্ত্রণের অভাবে হচ্ছে।

পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন খরচের কারণে সামান্য মূল্য পার্থক্য হওয়া সাধারণ। তবে বড় ধরনের পার্থক্য মানে হতে পারে অতিরিক্ত দাম বা মান কমানো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, ওষুধের মান কখনোই কমানো উচিত নয়, কারণ ওষুধ মানুষের জীবন রক্ষাকারী।

বর্তমানে সরকার শুধু ১১৭টি অপরিহার্য ওষুধের দাম নির্ধারণ করে, বাকি ওষুধের দাম কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন জানান, একই কাঁচামাল ব্যবহৃত হলেও বিভিন্ন ফ্যাক্টরি এবং অন্য সব কারণের জন্য মূল্য ভিন্ন হয়ে থাকে।

কিছু ওষুধের দাম এক কোম্পানির কাছে ২০ টাকা হলে অন্য কোম্পানির কাছে তা ১০ টাকায় বিক্রি হয়।

প্রফেসর সৈয়দ আবদুল হামিদ সরকারকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সমস্ত ওষুধের দাম একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলায় নির্ধারিত হয়।

তিনি একটি জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা বাজারে মূল্য বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে নজরদারি করতে পারবে।

নয়া দিগন্ত
ছবির ক্যাপশান,নয়া দিগন্ত

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী ২৬ মার্চ চীন সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তার সফরের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। তিনি চীনের বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করবেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবেন।

বিশেষত, চীনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ফ্যাক্টরি স্থাপনের আহ্বান জানানো হবে, যাতে তারা চীন থেকে কিছু রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সুবিধা নিতে পারেন।

এই সফরে ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং চীনের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করবেন।

তিনি চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে বাংলাদেশে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগ আনা যায়।

সফরের সময় তিনি চীনের হাইটেক পার্কে যাবেন এবং পিকিং ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেবেন।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চাইবেন এবং তাদেরকে হাসপাতাল নির্মাণে যুক্ত করতে চান।

ড. ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক বৈধতা এবং চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ভারতীয় প্রতিবেশীর সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে।