Image description
 

লোহিত সাগর দিয়ে বাণিজ্য জাহাজে হামলা বন্ধ না করলে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি যোদ্ধাদের লক্ষ করে অভিযান অব্যাহত রাখবে আমেরিকা। রোববার আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

 

এর আগে গত শনিবার রাত থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থান লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে আমেরিকা ও ইসরাইল। হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯৮ জন। গত জানুয়ারিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এটিই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বড় কোনো ধরনের হামলা।

 

ফক্স নিউজকে পিট হেগসেথ বলেন, ‘যে মুহূর্তে হুথিরা বলবে আমরা তোমাদের জাহাজ লক্ষ করে হামলা বন্ধ করব, তখন আমরাও তোমাদের ড্রোন লক্ষ করে গুলি বন্ধ করব। ফলে অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু ততক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত নির্মমভাবে তা অব্যাহত থাকবে।’

 

ইরান হুথিদের দীর্ঘ সময় সমর্থন দিয়ে আসছে উল্লেখ করে হেগসেথ বলেন, তাদের উচিত পিছু হটা।

 

এদিকে আমেরিকান হামলা প্রতিরোধ করার অঙ্গীকার জানিয়েছে হুতি যোদ্ধারা। শনিবার হুথি নেতা আবদুল মালিক আল-হুথি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, লোহিত সাগরে অবস্থান করা আমেরিকান জাহাজ লক্ষ করে অভিযান অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ আমেরিকা ইয়েমেনের ভূখণ্ড লক্ষ করে হামলা করবে।

 

তিনি বলেন, ‘তারা যদি তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, আমরাও আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত রাখব।’

 

রোববার হুথিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি জানিয়েছেন, আমেরিকান আগ্রাসনের জবাবে তারা আমেরিকার যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান লক্ষ করে ১৮টি ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। একইসঙ্গে ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে।

 

ইয়েমেনে হামলার জেরে হুথিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইয়েমেনিরা নিশ্চিতভাবে বিজয়ী। প্রতিরোধই একমাত্র পথ।’

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর দিয়ে ইসরাইল ও ইসরাইলের মিত্র দেশগুলোর বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণকারী হুথি যোদ্ধারা। এর জেরে ইয়েমেনে বিভিন্ন সময়ে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে।

 

এরইমধ্যে গাজায় ১৫ মাসের আগ্রাসন-পরবর্তী প্রথম ধাপের ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে চুক্তির জন্য দুই পক্ষে আলোচনা চলছে। আলোচনার মধ্যেই গাজায় পুরোপুরি অবরোধ চাপিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। একইসঙ্গে গাজাবাসীকে লক্ষ করে হামলা করছে ইসরাইলি সেনারা। শনি ও রোববার দুদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।