
ফেনীতে এফডিআরের টাকা প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে চড় ও হুমকি দিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রিয়াদ উল করিম। গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের একাডেমি রোডের ব্যাংক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তা ও ছাত্রদল নেতার মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে এফডিআরের টাকা তুলতে ব্যাংকে যান রিয়াদ উল করিম। টাকা প্রদানে বিলম্ব হলে তিনি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার ওমর ফারুকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ওমর ফারুককে গালিগালাজ ও হুমকি দেন তিনি। এ সময় রিয়াদের মারধরে ওমরের নাক ফেটে রক্ত বের হয়।
ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি বিনয়ীভাবে তাকে টাকা প্রদানের বিষয়টি বলেছিলাম। কিন্তু তিনি হঠাৎ গালিগালাজ শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করায় তিনি আমার নাকে মারাত্মক আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এর আগেও তিনি দলীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন।’
ছাত্রদল নেতা রিয়াদ উল করিম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে টাকা তুলতে পারছিলাম না। গতকাল কথা কাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু মারধর করিনি।’ তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে রিয়াদকে ওমর ফারুককে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিতে শোনা যায়। ওই ভিডিওতে রিয়াদ ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ঈদের আগে টাকা দিবি, না হয় হাত ঠ্যাং ভাঙি গুড়া করি হালামু।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক কাউছার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রাহকের টাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সোমবার রিয়াদের সঞ্চয়ী হিসাবের টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছেন।’
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, ‘ব্যক্তিগত বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে কেউ সংগঠনের নাম ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান, ‘ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলার বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।’
এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলার মতো ঘটনাকে অনেকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।