
কুমিল্লার আদালতে জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ওপর হামলা হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২য় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক মাহাবুবুর রহমান। তিনি কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তাহের ও হিসাব রক্ষক কাজী সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া।
জানা গেছে, আবু তাহের হাইকোর্ট থেকে অর্থ আত্মসাতের মামলার আগাম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন। দুপুরে এলে সরাসরি তিনি এজলাসে যাচ্ছিলেন। মাস্ক পরে এজলাসে যাওয়ার পথে আইনজীবীরা তাকে দেখে ধাওয়া দেন। এ সময় তিনি দৌড়ে এজলাসে ঢুকতে যাওয়ার আগেই আইনজীবীরা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে তিনি এজলাসে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে হামলার চেষ্টা করলেও বিচারক চলে আসেন। পরে আইনজীবীরা এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন। পরে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সিডব্লিউ মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে, তাকে জেল হাজতে পাঠানোর সময় আবারও আইনজীবীরা জড়ো হতে থাকেন। বিকাল ৩টার কিছু সময় আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, তিনি বারের তথা সাধারণ আইনজীবীদের টাকা মেরে খেয়েছেন। আইনজীবীদের ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটেছে আদালতে। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
কুমিল্লা জেলা সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক রিংকু বলেন, বারের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আইনজীবীরা তাকে পাকড়াও করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানো হয়েছে।