
দুর্ধর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ বন্দিদের রাখার জন্য ঢাকায় তৈরি হচ্ছে ‘স্পেশাল কারাগার’। কেরানীগঞ্জের চলমান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশেই হবে এ কারাগারের অবস্থান। ভবন তৈরি করাই আছে। সেই ভবনেই যাত্রা শুরু হবে ‘স্পেশাল’ কারাগারের।
কারা কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে কেরানীগঞ্জের মহিলা কারাগারটিকে ‘স্পেশাল কারাগার’ করার প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ১৭৬৫ সালে ১০টি ওয়ার্ড নির্মাণ করে সাধারণ বন্দিদের রাখা হতো।
জানা যায়, নারী কর্মকর্তা ও নারী রক্ষীর অভাবে কারাগারটি চালু করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সেই কারাগারটিই ‘স্পেশাল কারাগার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে প্রয়োজনে কিছু অংশে মহিলা বন্দিদের আবাসও করা হবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশেষ এই কারাগারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থার আয়োজন থাকবে। কারাগারটিকে দুর্নীতিমুক্ত ও আধুনিক কারাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়ার পর কারাগারের বাছাই করা কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের দিয়ে স্পেশাল এই কারাগার পরিচালনা করা হবে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’ তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের পর স্পেশাল কারগারটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। কারাগারটিতে যেসব বন্দি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রাখা হবে। এ ছাড়া এমন অনেক বন্দি রয়েছে, যারা বাইরের জন্য হুমকি, সেসব বন্দিকেও রাখা হবে।
জানা যায়, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আলাদা ইউনিটে মহিলা বন্দিদেরও রাখা হতো। সেই কারাগার থেকে বন্দিদের সরিয়ে নেওয়ার সময় মহিলা বন্দিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কাশিমপুর মহিলা কারাগারে। আর পুরুষ বন্দিদের পাঠানো হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। কেরানীগঞ্জে মহিলা কারাগার চালু না হওয়ায় মহিলা বন্দিদের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে রাখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, মহিলা বন্দিদের নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না। সে কারণেই আপাতত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মহিলা কারাগার চালু করা হচ্ছে না। স্পেশাল কারাগার দুই বছরের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এটার কার্যকারিতা দেখে ভবিষ্যতে মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা করা হবে।