
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল), সারজিস আলম তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি সম্প্রতি একটি 'ফুটেজ' প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, তিনি তার স্থান থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত আসামি গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছেন এবং এই বিষয়ে তিনি কিছু মতামতও প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়া ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে, তবে তার মতে, এটি ১-২ মাসের মধ্যে শেষ হওয়া উচিত ছিল, যাতে সমাজে অপরাধের শাস্তি কার্যকরভাবে প্রতিস্থাপন করা যায়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি আছিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সচেতন ছিলেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সিএমএইচ হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছিলেন। তবে তিনি কখনোই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেননি। সারজিস আলম বলেন, "ফুটেজ" বা সামাজিক মিডিয়াতে প্রকাশিত ছবি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একে শুধু মিডিয়া বা পাবলিক জাজমেন্ট হিসেবে দেখে তার সত্যিকারের কাজকে অবমূল্যায়িত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, আছিয়ার জানাযায় অংশ নেওয়ার পর, কিছু মিডিয়া প্রতিষ্ঠান অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে এবং একাধিক ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে তিনি ও তার দল সদস্যরা ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছেন। সারজিস আলম এমন আচরণের সমালোচনা করে বলেন, "আপনারা যদি ছবি তুলে আমাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন, তবে কখনো নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন—অন্যরা একই পরিস্থিতিতে কী করবেন না?"
আবার আরেকটা ঘটনায় তিনি মন্তব্য করেন, আছিয়ার জানাজা ছিল সন্ধ্যা সাতটায়। আমরা পৌঁছেছি সাড়ে পাঁচটায়। এই দেড় ঘন্টা একটা ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেছি। তার মধ্যে কয়েক মিনিট হয়তো ফোনের নোটিফিকেশন চেক করেছি। ঠিক ওই সময়ে কেউ ছবি তুললো এবং কালের কন্ঠ একাধিক বারের মতো এবারও অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে তাদের অনলাইন পোস্টারে সেটা প্রকাশ করলো। পাশাপাশি এমনভাবে দেখালো যে আমরা মনে হয় পুরো সময় বসে শুধু ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চাইলেই কিন্তু তারা ওখানে বসে থাকার অন্য সময়ের নরমাল কোন ছবি ব্যবহার করতে পারতো। কিন্তু কিছু রিয়াকশন বেশি পাওয়ার আশায় সেটা তারা করেনি।
আচ্ছা নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করেন- দেড় ঘন্টা কোথাও বসে থাকলে অন্তত কয়েক মিনিট আপনারা ফোনের নোটিফিকেশন চেক করতেন কিনা? যদি করেন তাহলে আপনাদের এই ভিউখোর মনোভাব বন্ধ হবে কবে? কবে পেশাদারিত্বের পরিচয় দেওয়া শুরু করবেন ?
তিনি আরও বলেন, "কোনো কিছু না দিলেই সমালোচনা করা হয়, আবার কিছু দিলেও তা ফুটেজমুখী হওয়া হিসেবে দেখা হয়।" তার মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এসব বিচার বিশ্লেষণ করার পরিবর্তে, যারা মাঠে কাজ করছেন, তাদের কাজে সহায়তা করা উচিত।
এভাবে, তিনি সবাইকে আহ্বান করেন, যাদের সমালোচনা করার প্রবণতা রয়েছে, তারা বাস্তবে তাদের ভালো কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক, যাতে অন্যরা তা অনুসরণ করতে পারে।