
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর স্বামী রমজান আলী পলাতক।
গৃহবধূর স্বজন মোহাম্মদ ছৈয়দ কবির বলেন, সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খাটের ওপর লাশটি দেখতে পায়। এ সময় সুমাইয়ার দুই বছরের মেয়ে পাশে ঘুমাচ্ছিল। সাত বছরের সাইফুল পাশের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। সে মাদ্রাসা থেকে প্রতিদিন সকালে বোনের বাড়িতে আসত।
খবর পেয়ে সুমাইয়ার আত্মীয়স্বজনেরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি দাবি করেন, আজ ভোররাতে স্বামী সুমাইয়াকে নির্যাতনের পর হত্যা করে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে দুপুরে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সুরতহাল শেষে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এতে স্বামী নির্যাতনের পর ওই গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করা সহজ হবে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। তাঁকে ধরার জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে।
গৃহবধূর পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন বছর আগে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার বাসিন্দা হারুন রশিদের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়ার বাসিন্দা আজিজুল হকের ছেলে লবণচাষি রমজান আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন করে আসছিলেন।