
নারীদের কেন রাস্তায় নেমে আসতে হলো এ বিষয়ে টেলিভিশন টকশোতে সরকার প্রধানের প্রেস সচিব শফিকুল আলম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি নারীদের এই আন্দোলনকে ওয়েলকাম জানাই। আমি মনে করি এই আন্দোলন পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে যারা নারীদের উপরে নানান কিছু চাপিয়ে দিতে চায়। আমি মনে করি, যে সব গ্রুপ নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট একটা বার্তা এই আন্দোলনের মাধ্যমে নারীরা দিচ্ছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এর ফলে নারীরা তাদের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষার্থে আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনগুলি নারীদের প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং অন্যান্য ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ হিসেবে উঠছে।
বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের খবর উঠে আসছে, যা নারীদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ধর্ষণের শিকার নারী শুধু শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, বরং সমাজের চোখে তাকে অনেক সময় কলঙ্কিত বা তিরস্কৃতও হতে হয়। নারী নির্যাতনের মধ্যে শারীরিক, মানসিক, যৌন এবং আর্থিক সহিংসতা অন্তর্ভুক্ত। কর্মস্থলে, পরিবারের মধ্যে, এবং রাস্তাঘাটে নারীরা প্রায়ই এসব সহিংসতার শিকার হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই আইনি ব্যবস্থা এবং সমাজের মনোভাব নারীদের পাশে দাঁড়ায় না, যা নারীদের আরও দুর্বল করে তোলে।