
কাউসার আলম
তারেক রহমানের ব্যাপারে কথা বলা খুবই রিস্কি। শফিক নিয়ে কথা বলা যাবে ইউনুস নিয়েও বলা যাবে কিন্তু তারেক নিয়ে বলা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ। দলীয় কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ কেউ স্ক্রিনশট রাখবে। শত্রু হিশেবে চিহ্নিত করবে। সামনে দল ক্ষমতায় এলে, বিপদে ফেলবে।
এসব কথা মাথায় রেখেই বলি--
মাগুরার ঘটনা নিয়ে কার পরামর্শে তারেক সাহেব হলিউডের শুটিং করলেন জানি না। কিন্তু মানুষের মনে এই ঘটনা যে চরম বিরক্তির উদ্রেক করেছে, তা সত্য।
নির্যাতিতা মেয়ের করুণ অবস্থায়, মা দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য। এসময় একদল বিএনপি কর্মী গিয়ে ঘিরে ধরলো মাকে। ক্যামেরা অন করলো। ফোনে লাউডস্পিকার দিলো। সেই মায়ের হাতে ফোন ধরিয়ে দিলো। লন্ডন থেকে নেতা ফোন দিয়েছে। পুরো ঘটনা একদম মুখের কাছে ক্যামেরা ধরে ভিডিও করা হলো। এই করুন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের মনের অবস্থা কেমন, সে ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। ফোনে কথা বলাটাই তো বিব্রতকর। তারপর এসব উটকো ঝামেলা। ভিডিওবাজি।
এসময় এধরণের পলিটিকাল স্টান্টবাজি কি খুব জরুরি ছিল?
এটা চরম হাস্যকর ও নির্বুদ্ধিতা। তার পরামর্শকরা হয়ত তাকে বুঝিয়েছে, সব ফুটেজ এখন শফিক খাচ্ছে, আপনি পিছিয়ে পড়বেন কেন?
ব্যাস। ইস্যু একটা পাইছে। ধর্ষণের মতো ইস্যুতেও ফুটেজ খাইতেই হবে। ক্যামেরায় আসতেই হবে। এরপর দলের নেত্রীকে পাঠিয়ে দিলেন আইসিউর ভিতরে। সেখানে গিয়ে ছবি তুলে নেটে ছাড়া হলো!!
রাজনীতিতে পপুলিজম থাকবে, লোক দেখানো কাজকারবার থাকবে। কিন্তু সেন্সিটিভ ইস্যুতে আমাদের পলিটিশিয়ানরা পপুলিস্ট ধান্দাবাজি থেকে বিরত থাকবেন, এই আশা কি আমরা করতে পারি না?