
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের গঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি)’ এবং জামায়াতে ইসলামী কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জননেতা মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তুলেন। ভাসানী স্মৃতি সংসদ ও জননেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বরকত উল্লাহ বুল বলেন, একজন ছাত্র ৫ই আগস্টের আগে যারা হলে থাকতো, যারা টিউশনি করতো তারা হঠাৎ করেই এতো টাকার মালিক হয়ে গেলেন, তিন-চার-পাঁচ কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন, আগে-পিছে আট-দশটা-বিশটা কোটি টাকার গাড়ি থাকে তাদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থার থাকে, এই যে একটা অশনিসংকেত জাতির জন্য। এর থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব জাতিকে মুক্তি দেবেন, এটাই আমাদের দাবি।
এনসিপির আত্মপ্রকাশে সরকারি পৃষ্ঠাপোষকতায় সারা দেশ থেকে লোকজন আনা, প্রশাসনকে ব্যবহার করার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, মানুষজন বলছে, এটা একটা কিংস পার্টি।’
বুলু বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, জামায়াতে ইসলাম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক সাথে থেকে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ১৭৫ দিন হরতাল পালন করেছিলো এবং সেদিন তারা আওয়ামী লীগে সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করেছিলো। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানে সংযোজন করেছিলেন জনগণের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। ৫ই আগস্টের পর আমরা কি দেখলাম? জামায়াতের আমীর, তিনি এক সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন, উনি হঠাৎ বলে দিলেন, দেশে যা ঘটেছে, যারা যে অন্যায় করেছেন- আমরা সবাইকে মাফ করে দিলাম। আপনি মাফ করে দেয়ার কে? জামায়াতের এসব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে এই ছাত্র শিবিরের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে ছিলেন, আত্মগোপন থেকে তারা আত্মপ্রকাশ করলেন। বৈষম্যবিরোধীরা যারা নতুন দল গঠন করলেন তারা হঠা করে বক্তব্য দিয়ে বসলেন, আমরা ৪৭ এর পুর্বাবস্থায় ফিরে যেতে চাই, আমরা একাত্তর মানি না। যারা একাত্তর মানে না, যারা ’৫২ মানে না তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকেও মানে না। একাত্তর হলো আমাদের স্বাধীনতার মূল স্তম্ভ, আমাদের ভিত্তি, একাত্তর হলো ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। অতএব একাত্তর যারা মানে না, আমি মনে করি- তাদের এদেশের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার নাই এবং ভোটে প্রার্থী হওয়ারও যোগ্যতা নাই, অধিকারও নাই।
ভাসানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।