
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না, এমন আশ্বাস দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ধারী এক যুবকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার (৯ মার্চ) থানায় মামলা করলে বাদীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের ওই ৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনরা সমন্বয়ক নিয়ে কঠোর সমালোচনা করছেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, শফিউলের বাবা ভাইটকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলীকে ওবায়দুল বলছেন, ‘আপনার ছেলে শফিউল আলমকে পুলিশ ধরবে না।’ এ কথা বলে তিনি পাঁচ হাজার টাকা নেন।
ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলী বলেন, ‘আমার ছেলে রাজনৈতিক জীবনে কোনো অন্যায় করেনি। ছেলের নামে মামলা ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নেন প্রতারক ওবায়দুল। এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে ফুলপুর থানায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা করি। মামলা করার পর বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন ওবায়দুলের লোকজন।
জানা যায়, গতকাল রবিবার ওবায়দুলের ভাই শহিদুল ইসলাম মামলার বাদীর ছেলে শফিউল আলমকে কুপিয়ে জখম করেন। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলমান। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুদিনেও অভিযুক্ত ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলা পক্ষ থেকে মাসুম মিয়া, আলআমিন, ছাদেকুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, আহনাফ, নাঈম শেখ হিয়ন কবির জাকারিয়াসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ফুলপুরে কোনো সমন্বয়ক নেই।
তারা আরো বলেন, ফুলপুরে সব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত চাঁদাবাজ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওবায়দুলের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
ফুলপুর থানার ওসি মো. আব্দুল হাদি বলেন, ‘টাকা আদায়ের ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিতে অনুরোধ জানান তিনি।