Image description

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীর শরীরে বাড়ির মালিক অস্বাভাবিকভাবে স্পর্শ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের নবীনবাগে মোল্লা হাউজ বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে তার বন্ধু বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় তাকে কল করে গেটের চাবি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে আনতে বলেন। তিনি চাবি নিতে গিয়ে বাসার ভাড়াও নিয়ে যান। তিনি বাসা ভাড়ার টাকা যখন বাড়ির মালিকের হাতে দেন, তখন তিনি টাকা হাতে নিয়ে গাল টিপে ধরেন। এতে তিনি ভয় পেয়ে দ্রুত কক্ষে গিয়ে দরজা দিয়ে দেন। এ সময় বাড়ির মালিক কয়েকবার দরজায় নক করেন।

এ বিষয়ে মোল্লা হাউজের মালিক শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘তারা আমার মেয়ের মতো। বড় মেয়েটা মারা গেছে, আর ছোট মেয়েটা ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাসায় রাত ১০টার পর গেট বন্ধ হয়ে যায়। সে আমার কাছে এসে তার বান্ধবী বাইরে আছে বলে চাবি নিয়ে যায়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পার হলেও চাবি ফেরত না দিলে আমি নিচে গিয়ে দেখি ভালো করে গেট আটকানো হয়নি। সকালে আমার গ্রামের বাসায় যাওয়ার কথা আছে। সকালে যেতে হবে বলে আমি তাদের বাসায় নক করি।’

নারী শিক্ষার্থীর গালে স্পর্শ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এমনি তাকে টাচ করে বলি মামনি চাবিটা দিয়ে যেও। এর বাইরে তেমন কিছু না। সে তো আমার মেয়ের বয়সী।’

এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবার জন্য সময় নিয়েছে সে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেব। আমরা তার পক্ষে আছি। তাকে আমরা ভাবার জন্য সময় দিয়েছি। সে কি সিদ্ধান্ত দেয়, তারপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’