
নাটোরে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ব্যানার। পুলিশের দাবি, উত্তেজিত জনতা তথা মবের ভাঙচুর থেকে ভবনটি বাঁচাতে এ কৌশল নেওয়া হয়।
ব্যানার টাঙানোর একটি ছবি আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, অন্ধকারে দুই যুবক সিংড়া পৌরসভার গোড়াউনপাড়ায় পলকের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে একটি ব্যানারের দড়ি বাঁধছেন। ওই ব্যানারে লেখা ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিংড়া থানা, নাটোর’।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পলকের এই বাড়ি থেকে হেঁটে সিংড়া থানা ৫ মিনিটের ও সহকারী পুলিশ সুপারের (সিংড়া সার্কেল) কার্যালয় ১০ মিনিটের পথ। গতকাল বুধবার রাত ৭টার পর সিংড়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই যুবক বাড়িটিতে ব্যানার লাগিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন জড়ো হন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ব্যানারটি দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওই দিনই পলকের এই বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর পর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় বাড়িটির নিচতলার একটি কক্ষ তাঁর প্রটোকলে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই কক্ষকে অনেকেই পুলিশ ক্যাম্প হিসেবে জানতেন তখন থেকে। কক্ষের বারান্দায় পতাকা স্ট্যান্ডও ছিল।
এখন পলকের বাড়িতে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যানার লাগানো ও খুলে ফেলার ব্যাপারে জানতে চাইলে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল মবের মাধ্যমে একদল জনতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বাড়িটি ভাঙচুর করবে। যেহেতু ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে, তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিংড়ার এই বাড়ি ভাঙচুর করা হতে পারে। তবে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লেখার কারণে কেউ বাড়িটি ভাঙচুর করতে আসেনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যানারটি খুলে ফেলা হয়েছে। এখন এসে দেখতে পারেন, ব্যানারটি আর নেই।’