
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল থেকে তাকে আটক করে মারধরের পর পুলিশে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. সাগর হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও মাদার বখশ হলের আবাসিক ছাত্র।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সাগর তার ফেসবুক আইডিতে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক হিসেবে পরিচিত ব্লগার আসাদ নূরের করা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি ভিডিও পোস্ট শেয়ার করে কিছু কথা লেখেন। মাদার বখশ হলের একজন শিক্ষার্থী ওই পোস্টের একটি স্ক্রিনশট হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপে দেন। পরে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সাগরের কক্ষে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
খবর পেয়ে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাগরকে তাৎক্ষণিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর ও হলের আসন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে নগরীর মতিহার থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত সাগর হোসেন বলেন, আমি শুধু ভিডিও দেখে শেয়ার দিয়েছি, ক্যাপশনের লেখাটা আমার নজরেই আসেনি। যদি বুঝতাম, তাহলে কখনোই শেয়ার করতাম না। পরে বুঝতে পেরে পোস্টটি ডিলিট করেছি।
মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ শাহ্ হোসাইন আহমদ মেহেদী বলেন, নাস্তিক আসাদ নূরের ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে মহানবী হজরত (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল রাতে বেশকিছু শিক্ষার্থী ফোন করে আমাকে ঘটনাটি জানায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও আমার স্টাফদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থীর বিচার দাবি করেন। পরে তাৎক্ষণিক তার হলের আসন বাতিল করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক শিক্ষার্থীকে ধর্ম অবমাননা করার অভিযোগে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঘটনার বিষয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে দেখবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।