
বিভিন্ন কর্মকর্তার রুম, গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ এসবের বেশিরভাগই অনেকটা আন্ডার গ্রাউন্ডে (বেইজমেন্ট) বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের।আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সায়ের এ কথা জানান।সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, অফিসের কাজে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে গিয়েছিলাম, হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বেশ আন্তরিক। তবে পুরো ভবনটা ঘুরে দেখে বেশ হতাশ হলাম, কর্মকর্তারা সকলেই কাজ করতে এবং প্রবাসীদের সেবা প্রদানে আগ্রহী কিন্তু তাঁদের কাজের পরিবেশ, মানে হাইকমিশন ভবনের ভেতর কনস্যুলার সার্ভিসের ব্যবস্থা, বিভিন্ন কর্মকর্তার রুম, গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ এসবের বেশিরভাগই অনেকটা আন্ডার গ্রাউন্ডে (বেইজমেন্ট)। লন্ডনের তাপমাত্রা আজ দুপুরে ৯ ডিগ্রির মতো ছিলো। কিন্তু কোন রকম প্রোপার ভেন্টিলেশন না থাকায় বেইজমেন্টে (যেখানে প্রবাসীরা বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে আসেন), বেশ অস্বস্তিকর লাগছিলো। গরমে যে কি অবস্থা হতে পারে, সেটা ভেবেই বেশ অস্থির বোধ করলাম!
আজকে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম ছিলো বলে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বেশি ভিড় হলে প্রবাসী সহ কনস্যুলার সেবা নিতে যারা আসেন তাঁদের লাইন মূল সড়কে চলে যায়। লক্ষ্য করলাম, কিছু কর্মকর্তাদের কাজ করার রুম সর্বোচ্চ ৬'x ৬', মূল পাঁচটি সেবা দেয়ার কাউন্টার (ভেতরে বসার স্থান) এতটাই সরু যে দু'জন ব্যক্তি পাশাপাশি হাঁটতেও বেগ পেতে হবে।১৯৭২ সালে কেনা এই ভবনের আমূল সংস্কার প্রয়োজন। যারা পরিবার পরিজন ছেড়ে এই দূর প্রবাসে বসবাস করেন, এবং অত্যন্ত পরিশ্রম করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান, তাঁরা যদি নিজ দেশের হাইকমিশনে গিয়ে একটু স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন, তাহলে সেটা বেশ লজ্জাজনক। একইভাবে কর্মপরিবেশ নাজুক অবস্থার কারণে, সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাইলেও তাঁদের সেরাটা দিয়েও, সেবা দিতে কুলিয়ে উঠতে পারেন না।যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মিশনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল, যথাযথ কর্মপরিবেশ তৈরি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্তোষজনক সেবা প্রদান করতে — জরাজীর্ণ হাইকমিশন ভবনের সংস্কার অতি জরুরি।