
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে তোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানি বাতিল চেয়েছে অংশীজনরা। এসময় হট্টগোল হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করে অংশীজনরা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ালে হুমকির মুখে পড়বে বিনিয়োগ-ব্যবসা-বাণিজ্য আর শিল্প খাত। যার ফলে সার্বিকভাবে ব্যাহত হবে দেশের অর্থনীতি।
এদিকে শুনানি বাতিলের দাবিতে একই ভবনের নিচে মানববন্ধন করছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। একই সঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপকে প্রহসন দাবি করে শুনানি বয়কট করেন তারা।
সংগঠনটি নেতারা বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর এ উদ্যোগ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘বর্তমান বিইআরসি আগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। এটা আগের সরকারের ধারাবাহিকতা। এটা উদ্বেগের। যারা দাম বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেছেন, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আন্দোলন হয়েছে, রক্তদান হয়েছে, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এমন অবস্থায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বৈষম্যমূলক প্রস্তাব অনুমোদন করে জ্বালানি বিভাগ বিস্মিত করেছে।’