Image description
 

সরকারের অর্থের অপচয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ কর্ণফুলি টানেল। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্যই এটি নির্মাণ করা হয় বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

বুধবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে  ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ডিজেএফবি টকে  একক আলোচনায় শফিকুল আলম এ কথা বলেন। ডিজেএফবি টক এ সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হামিদ-উজ- জামান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিবের সঞ্চালনায় সহ সভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক,  অর্থ সম্পাদক মো জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সদস্য জাগরন চাকমা, মোহাম্মদ জাকারিয়া কাঞ্চন প্রমূখ।

ব্যয় বহুল টানেল নির্মাণ প্রসঙ্গ প্রেস সচিব  বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য উনি কর্ণফুলি টানেল প্রকল্প নিয়েছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) খোঁজ নিয়ে দেখেন।  ৪৫০ কোটি টাকার হোটেল করেছেন মন্ত্রী। তিনি ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন ধরে নিয়ে এই আয়োজন করেছেন। তার বাড়ি আনোয়ারার এই জন্য টানেল নির্মাণ করেছেন।

 

শফিকুল আলম মনে করেন, আরও দশ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হতো। তখন হয়তো কর্ণফুলির ওই পাড়ে অনেক কিছু হবে। শফিকুল আলম আরও বলেন, টানেল এলাকায় সাড়ে চার শ কোটি টাকায় সাত তারকা মানের হোটেল করা হয়েছে। যা অপচয়। 

সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার ধসে পড়ার ( কলাপসড) সম্মুখীন এমন একটি অর্থনীতি পেয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। গত ছয় মাসে অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে, যা অকল্পনীয় ( মিরাকল)।

তিনি মনে করেন, বিগত সরকার জ্বালানি খাতকে চুরির কারখানা বানিয়েছে। ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করেছে। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় এই ডাকাতি হয়েছে। 

শফিকুল আলম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প করেছে। টাকা নাই, কিন্তু ৫৬০ টি মসজিদ বানিয়েছে। এমন রেলপথ বানিয়েছে, যেখানে দিনে একটি ট্রেন চলে। প্রকল্প খরচ ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। পছন্দের লোককে সুবিধা দেওয়ার জন্য এমন করা হয়েছে। বাংলাদেশের টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশে থাকলে অন্তত কর্মসংস্থান হতো। কানাডায় বেগম পাড়া হয়েছে, লন্ডনে ব্লকের পর ব্লক কেন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এখন অর্থনীতির ' যক্ষ্মা ' ঠিক করছে, পরে স্বাস্থ্য ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

তার মতে, গত দুই মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমেছে। জুন মাসের মধ্যে সাত শতাংশে নেমে আসবে।এখন প্রয়োজন জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। 

ব্যাংক খাত নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আমানতকারীরা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, এই বার্তা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বার বার দিচ্ছেন। আগের সরকার এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে এখন কেউ এক টাকাও ব্যাংক রাখত না।