Image description

মুখচ্ছবি নয়, আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় যাচাইসহ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্দানশিন নারীরা। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে পর্দানশিন নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় তারা মানববন্ধনের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষাকর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।


 

স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

এসব দাবিগুলো হলো, বিগত ১৬ বছর যাবৎ যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনা, পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। এ জন্য সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা, পর্দানশিন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষের বদলে নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।

মানববন্ধনে পর্দানশিন নারী সমাজের পক্ষে বক্তব্য দেন ফারহানা হক, আহমদ আয়িশা সিদ্দিকা ও শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না পারায় এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন না পর্দানশিন নারীরা।

এ জন্য তারা নাগরিক সেবাও নিতে পারছেন না। প্রায় ৩০ লাখ পর্দানশিন নারীর এনআইডি আটকে রয়েছে। গত ১৬ বছর নির্বাচন কমিশনের কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন। ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়া কোনো পর্দানশিন নারী নিজের জমি বিক্রি করতে পারছেন না, সরকারি ত্রাণ সহায়তাও নিতে পারছেন না।
এ ছাড়া সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে এনআইডি কার্ড না থাকার কারণে। তাই বৈষম্যহীন দেশ গঠনের অংশ হিসেবে মুখচ্ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবি জানান তারা।