Image description

কদরুদ্দীন শিশির  (Qadaruddin Shishir)

 
বেশ কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি, গাঁজাখোর এবং সাংবাদিকরা তাদের প্রডাক্ট অবদবদল করেছেন।
 
ইদানিং গাঁজাখোররা 'সংবাদ' খেয়ে নেশা করেন, আর সাংবাদিকরা 'গাঁজা' লিখে পাবলিককে জানান।
 
নীচের উদাহরণটিই দেখুন। একটি পত্রিকা আজ বিকালে একটি 'গাঁজা' লিখে শিরোনাম দিয়েছে, "গত ৬৫ ঘণ্টায় ৭২ ধর্ষণ"
 
গাঁজাটি ওরা আহরণ করেছে একজন রেন্ডম ফেসবুকারের ফেসবুক পোস্ট থেকে। ওই ফেসবুকার আবার 'সংবাদ' খেয়ে পোস্ট করেছিলেন।
 
২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় 'নাফিজ খান' নামক ওই ফেসবুকার তার ওয়ালে পোস্ট করেছেন ''গত ৪৮ ঘন্টায় ৫০ধর্ষণ! সৌর্স: কমেন্টে"।
 
কমেন্টে তিনি সত্যি সত্যিই অনেকগুলো ধর্ষণ সংক্রান্ত নিউজের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে, তার পোস্টে 'গত ৪৮ ঘণ্টা'র কথা উল্লেখ করলেও কমেন্টে স্ক্রিশনট এড করেছেন ১ মাস, ২ মাস এমনকি ৫ মাস আগের খবরও।
 
মানে, তিনি যে ৫০টি ধর্ষণের খবর 'গত ৪৮ ঘণ্টার' বলে দাবি করেছেন সেটা সত্যি নয়। কয়েক মাস ধরে প্রকাশিত হয়েছে এসব খবর।
 
এরপর এই পোস্টটি নানানভাবে মডিফায়েড হয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচার শুরু হয় ‘‘গত 65 ঘন্টায় 72 ধর্ষণ!‘‘ শিরোনামে।
 
তো, রেন্ডম ফেসবুকার এবং আওয়ামী লীগের পেইজগুলো থেকে যেহেতু 'সংবাদ' খেয়ে পোস্টটি করা হয়েছে ফলে তা বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে পছন্দ হয়েছে। এবং সংবাদমাধ্যমটি ওই পোস্টটিকে তাদের পত্রিকার পাতায় মুড়িয়ে 'গাঁজা' আকারে বাজারে সরবরাহ করেছে।
 
এভাবে গাঁজার পুটলিগুলো সংবাদপত্র এবং সংবাদপত্রগুলো গাঁজার পুটলি হয়ে উঠছে।