
গত ৫ আগস্টের পরে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ভাইরাল হওয়া সেই ফারজানা সিঁথি এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে পুলিশের মুখোমুখি হতে দেখা গেছে। সেখানেও তাকে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রাটি বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে শিক্ষাভবনের সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
এসময় ফারজানা সিঁথিকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে দেখা গেছে। তিনি এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, এতো ফোর্স নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন রাত নয়টার পড়ে তো ট্রাফিকেরা পর্যন্ত থাকে না। আপনারা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে পারেন না, তারা এখানে এতা হাইপার কেন? রাস্তায় আপনারা কই থাকেন আমাকে বলেন না?
তিনি আরো বলেন, গত সাত দিনে কয়টা ধর্ষণ হয়েছে আমাকে বলেন? ধর্ষণকে বানিয়ে দেন শ্লীলতাহানি। শিক্ষকরা আন্দোলন করে মারেন জলকামান। সাধারণ মানুষরা আন্দোলন করে আপনারা জলকামান মারেন। একটা ছিনতাইকারী আপনাদের ধরতে দেখতাম তাহলে এই আন্দোলন আজকে আমি সরিয়ে নিয়ে যেতাম।
এর আগে এদিন ব্যারিকেড সরানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় যাওয়ার রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ ছাড়া তাদের হাতে থাকা পোস্টার-প্ল্যাকার্ডে ‘ধর্ষণ কী, ধর্ষণ কেন, আইন কী জানে’; ‘পাহাড় থেকে সমতল, সকল ধর্ষণের বিচার চাই’; ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ধর্ষণের রাজনীতি’; ‘আমরা জন্ম থেকে শহীদ’; ‘তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার কই, রাষ্ট্র তুই ধর্ষক’ প্রভৃতি প্রতিবাদী লেখা দেখা যায়।
তাদের দাবিগুলো হলো- জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার এবং সংশ্লিষ্ট আইনসমূহের যৌক্তিক সংস্কার করা।