Image description
 

আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী তাঁর এক ওয়াজে মূসা আঃ এর শৈশব নিয়ে বলেন, আমি প্রথমেই দেখতে চেয়েছি মূসা আঃ কে যেখান থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে সেই জায়গাটা কোথায়। আমাকে দেখতে হয়েছিল যেখানে তাঁর মা মূসা আঃ কে বাক্সবন্দী করে ফেলে দিয়েছিলেন সেই জায়গাটা কোথায়।

আল্লাহ তাঁর মাকে বলেছেন, তুমি মূসার মা তোমার ছেলেকে বাক্সবন্দী করে নদীতে ফেলে দাও। কারন ফেরাউন বলেছে, এই জাতির কোন পুরুষকে বাঁচিয়ে রাখবোনা, মেয়েগুলোকে বাঁচিয়ে রাখো, বাকি সব মেরে ফেলো।

এটা ছিল ফেরাউনের ইচ্ছা ,সে কোন পুরুষ মানুষকে বাঁচতে দিবেনা। আর আল্লাহর ইচ্ছা ভিন্ন। মা যখন শিশু মূসাকে নদীতে ভাসিয়ে দিলেন তিনি বুক ফেটে কান্না করে দিলেন। আর তাঁর বোন নদীর পার দিয়ে যাচ্ছে বাক্স যায় কোথায়। এই ঘটনা আল্লাহ কোরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন। ভাসতে ভাসতে বাক্সটি গিয়ে থামলো সেখানে যেখানে ফেরাউন ও আছিয়া বসে খোশগল্প করছিল। বাক্সটি দেখতে পেয়ে ফেরাউন সেটি নিয়ে খুলে দেখল ভিতরে এক ফুটফুটে বাচ্চা। ফেরাউন বললো এইতো আমার দুশমন, তরবারি আনো একে হত্যা করবো।
আছিয়া বললো এগুলো কি বলো! আমাদের কোন বাচ্চা নেই। এই ছোট্ট বাচ্চাটিকে হয়তো আল্লাহ আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। চলো আমরা ওকে লালনপালন করি। এরপর যেই বাচ্চাকে ফেরাউন বাঁচতে দিবেনা ওকে দুধ খাওয়ানোর জন্য পাগল হয়ে গেলো।

 

মূসা আঃ যখন একটু বড় হলেন আল্লাহ তায়ালা বলেন, মূসা তুমি ভয় পাও? আমি তোমাকে আমার জন্য সৃষ্টি করেছি।

ফেরাউন একবার মূসা আঃ কে কোলে নিয়ে চুমু খেতে গেলে, মূসা নবী ফেরাউনকে ঠাস করে একটা চড় মেরে বসলো। রাগে ফেরাউন মূসা নবীকে মাটিতে ফেলে দিলো। আছিয়া বলে উঠলো, ফেরাউন, তুমি কি মানুষ? এইটুকু বাচ্চা কিছুই বোঝে না। ফেরাউন বললো ঠিক আছে, তুমি আগুন আর স্বর্ণ নিয়ে আসো দেখি। যদি ও আগুনে হাত দেয় তাহলে বুঝবো ও বোকা, আর স্বর্ণে হাত দিলে ওর মাথায় বুদ্ধি আছে।
মূসা নবী স্বর্ণে হাত দিতে গেলে আল্লাহ তায়ালার কুদরতে আগুনে হাত দেয়। এভাবে চলতে থাকতে মূসা নবীর শৈশব।