Image description

দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কমছে পণ্যের দাম। ভোজ্য তেল ও কয়েক ধরনের পণ্য ছাড়া ছোলা, খেজুরসহ রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিদিনই নিম্নমুখী হওয়ায় পাইকাররা এসব ভোগ্যপণ্য বেশি কিনছে না। ফলে ভরা মৌসুমেও খাতুনগঞ্জে শুরু হয়নি রমজানের বেচাকেনা। ব্যবসায়ীদের দাবি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে রমজানকেন্দ্রিক বেচাকেনা। তবে চাহিদার বেশি আমদানির পরও বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, ‘রমজানের প্রয়োজনীয় সব পণ্য প্রত্যাশিত আমদানি হয়েছে। মজুতও রয়েছে পর্যাপ্ত। তাই রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না।’

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে প্রতিদিনই কমছে ভোগ্যপণের দাম। কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা পর্যন্ত কমছে। পণ্যের দাম কমতে থাকায় পাইকাররা রমজানের জন্য ভোগ্যপণ্য বেশি কিনছে না। তাই রমজান ঘিরে প্রত্যাশিত বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে।’

জানা যায়, বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি হয়েছে বেশি। বিগত সময়ের দ্রব্যমূল্যের কারসাজি সিন্ডিকেট কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় ছোট-মাঝারি আমদানিকারকরাও আমদানি করেছেন রমজানের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়েও পণ্য আমদানি হয়েছে। কিছু কিছু পণ্য আবার আমদানি হয়েছে রমজানের চাহিদার চেয়ে বেশি। আমদানি এবং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় বাজারে পণ্যের দাম পড়তে শুরু করেছে। ছোলা, খেজুরসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমছে। প্রতিনিয়ত ভোগ্যপণ্যের দাম কমতে থাকায় দেশের অন্যতম এ পাইকারি বাজারে নেই ক্রেতাদের প্রত্যাশিত সাড়া। তবে চাহিদার বেশি আমদানির পরও ভোজ্য তেল নিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে। তেল নিয়ে তেলেসমাতির কারণে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এবার রমজান শুরু হওয়ার আগে রাজনৈতিক অস্থিশীলতা, বড় বড় আমদানিকারকের কারও কারও নিষ্ক্রিয়তা, কিছু কিছু ব্যাংকের বেহাল অবস্থা, ডলারসংকটে মাসের পর মাস এলসি খোলা সীমিতকরণ, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নসহ নানা সংকটের কারণে রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য তেল, চিনি, পিঁয়াজ, আলু, ডাল, ছোলা, খেজুর আমদানি নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানির রেকর্ড হয়েছে রমজান উপলক্ষে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে রমজান ঘিরে ছয় ধরনের পণ্য আমদানি হয় সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে রয়েছে পিঁয়াজ, মসুর ডাল, খেজুর, ডাবলি (অ্যাংকর), গম, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে পিঁয়াজ, মসুর ডাল, গম, খেজুর ও সয়াবিন তেল।