
মহল্লাদার বা গ্রাম পুলিশের চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে বিপাকের পড়েছেন মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক। যোগদান করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। আরিফুল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের মো. সহিদুল্লাহর ছেলে।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের আচারগাঁও গ্রামের মো. শাহ আলম ওরফে হিরু আলম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ওই সময়ের জাতীয় সংসদ সদস্যের কাছের মানুষ পরিচয় দেন।
২০২৪ সালের ৬ মার্চ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগ পত্রে লেখা ছিল স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এস আর ও নম্বর ৮৯ আইন ২০১৫ তারিখ ৪ মে প্রকাশিত স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ গঠন, প্রশিক্ষণ শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলি সম্পর্কিত বিধি মালা, ২০১৫ মোতাবেক ৪ নম্বর চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদে মহল্লাদার পদে আপনাকে নিয়োগ প্রদান করা হল।
এ অবস্থায় আপনার ২০২৪ সালের ৬ মার্চ আবেদনপত্র ও পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎকার-পরীক্ষার ভিক্তিতে ওপরে লিখিত শর্তসাপেক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের ১৫তম গ্রেডে ৪ নম্বর চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদে মহল্লাদার পদে আপনাকে নিয়োগ প্রদান করা হল।
আরিফুল জানান, তিনি নিয়োগে দেওয়া নির্ধারিত তারিখে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে নিয়োগপত্র দেখালে সেখান থেকে জানানো হয় এটা ভুয়া।
ছেলে একটি চাকরি পাবে এই জন্য মা নাজমা বেগম নিজের স্বর্ণের কানের দুল ও নাকের ফুল বিক্রি ছাড়াও ধারদেনা করে টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন। চাকরি না হওয়ায় এই সুদে আনা টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এখন কী করবেন, কার কাছে যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী এই পরিবার।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার জানান, নিয়োগে যে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর রয়েছে ওই সময় তিনি জেলা প্রশাসক ছিলেন না। এতে বোঝা যায় এটা ভুয়া। ওই যুবক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এখন প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে।