
জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা এবার আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তারা আন্দোলনের পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা করছেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় আনা হতে পারে।
শিক্ষকরা বলছেন, দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। সরকারি সুবিধা না থাকায় তারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে অনশন অব্যাহত রাখাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এর অংশ হিসেবেই পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, যদি দ্রুত তাদের দাবি পূরণ করা না হয়, তবে তারা রাজপথে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। এই কর্মসূচিতে শিক্ষকদের স্ত্রী-সন্তানরাও অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া স্কুলে স্কুলে তালা, শিক্ষকদের কর্মবিরতি, ক্লাস বর্জন এবং রাজধানীতে বৃহৎ সমাবেশের মতো কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, সরকার দ্রুত তাদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধ্য হবেন।
এ বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আগামীকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এবং সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আমাদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি এই দুইদিন দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হবে।’
এ শিক্ষক নেতা জানান, ‘সোমবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচিতে শিক্ষকদের পরিবারের সদস্য এবং স্ত্রী-সন্তানরা অংশগ্রহণ করবেন।’
প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষকদের শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এর পর আট সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনা জন্য সচিবালয়ে যান। পরে তারা ঘোষণা দেন শুক্র ও শনিবার প্রতীকী অনশনে বসবেন আর রোববার ফের সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে। সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।