Image description

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক আমার দেশ এর সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান আবু সাঈদসহ সকল শহীদদের নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে।

 

শনিবার বিকেলে বেরোবির স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পাঁচদিন ব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ আহ্বান জানান তিনি।

 

মাহমুদুর রহমান বলেন, আবু সাঈদের আইকনিক দৃশ্য পুরো বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে।

 

বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, বেরোবির গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ারম্যান কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন প্রমুখ।

 

মাহমুদুর রহমান বলেন, আবু সাঈদ ১৬ জুলাই পুলিশ ও খুনি হাসিনাকে চোখ রাঙ্গিয়ে রাস্তায় নামায় সকল ছাত্ররা আন্দোলনে শরিক হয়। হাসিনার ফ্যাসিবাদ ভারতের হেজিমনি পরাজিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।

 

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আগামীর বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার থাকবে।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আবু সাঈদ। জুলাই বিপ্লবে আমরা ৩৬ দিনে দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন বাঁকের মধ্য দিয়ে বিপ্লব এগিয়ে গেছে। সেই বাঁকের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল আবু সাঈদ। যেটা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ দুই হাত তুলে পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জীবন দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মাস্টার মাইন্ড কেউ নেই। যারা আন্দোলন করেছে তারাই মাস্টার মাইন্ড। যে দল বা ব্যক্তি মাস্টারমাইন্ড সৃষ্টি করতে যাবে তাদের মুজিববাদের মতো পালিয়ে যেতে হবে ও তাদের মন্দির ভেঙ্গে দেয়া হবে।

 

গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সায়ীদের বাবা মকবুল হোসেন ও শহীদ খাতুনের বাবা নূর ইসলাম।

 

বইমেলায় ৪০টি স্টল অংশ নেয়। বইমেলায় আলোচনা সভা, লেখক-পাঠক আড্ডা, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো। শেষ দিনে বইমেলায় উপচে পড় ভিড় ছিলো। মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যের সময় বেরোবি শিক্ষক, শিক্ষার্থীর মনোযোগ দিয়ে তার বক্তৃতা শুনেন।

 

এর আগে শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি নজরুল গবেষক ও যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়াও কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীগণ আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সদস্যরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ ওসমানী, কোষাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম, মেজবাহুল হিমেল ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসলে দৈনিক আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানান বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নু-ই-আলম সিদ্দিকী, আমার দেশ পত্রিকার বগুড়া ব্যুারো চিফ সবুর শাহ লোটাস, রংপুর অফিসের স্টাফ রিপোর্টার বাদশা ওসমানী, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দপুর প্রতিনিধি সাহাবাজ উদ্দিন সবুজ, জলঢাকা প্রতিনিধি মো. ফয়সাল মুরাদ ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল।

অনুষ্ঠানে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষে থেকে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি গাইল দুটি এ্যালবাম বেরোবিকে হস্তান্তর করা হয়। মাহমুদুর রহমান বই মেলার প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন।