Image description

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে ভাগনের লাঠির আঘাতে মামার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কাঞ্চন মিয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামের কাউছু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মাজহারুল উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে অটোরিকশাচালক মাজহারুল প্রায় সময়ই তার মা মাজেদা আক্তারকে (৪৫) শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার মাজহারুল তার মাকে মারধর করে। ছেলের অত্যাচার নির্যাতনের বিচার চাইতে মাজেদা তার ভাই কাঞ্চন মিয়াকে জানান। মঙ্গলবার বিকেলে কাঞ্চন মিয়া শাসন করতে ভাগনের বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাগনে মাজহারুল উত্তেজিত হয়ে কাঞ্চন মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে কাঞ্চন মিয়া গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত কাঞ্চন মিয়াকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাঞ্চন মিয়া মারা যান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে মাজহারুল প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও মাজহারুল তার মাকে মারধর করে। বিষয়টি তার মামা কাঞ্চন মিয়া জেনে ভাগনেকে শাসন করতে যায়। তবে শাসন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাঞ্চন মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাজহারুল। পরে গুরুতর আহত কাঞ্চনকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, লাশ এখনো মমেক হাসাপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ঘটনার পর অভিযুক্ত মাজহারুল পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।