Image description

ঠাকুরগাঁওয়ে বাবা ফজলে আলমকে (৫৯) ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন প্রকৌশলী ছেলে গোলাম আজম (২৯)। 
রোববার রাত ৩টার সময় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলে আলম জেলার পৌর শহরের একুশে মোড় শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। অভিযুক্ত গোলাম আজম একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। 
পুলিশ জানায়, গোলাম আজম রাতে থানায় গিয়ে জানায় যে, সে তার পিতা ফজলে হককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরে গোলাম আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন দূরে থাকায় হত্যার ঘটনাটি কেউ জানতে পারেননি বলে জানায় গোলাম আজম। 
প্রতিবেশী সূত্র জানায়, গোলাম আজম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট)  সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝেমধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের মধ্যেই সমস্যা। নাম গোলাম আজম হওয়ায় ভালো কোথাও চাকরি হয়নি। সবখানেই নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি। রাজশাহীতে ছাত্র থাকাবস্থায় নামের কারণে ২ বার জেল হাজতেও যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি মানসিক রোগী নই, বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও আমার বাবা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় ৩ মাসের শিশু নিয়ে আমার স্ত্রী পিত্রালয়ে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। 
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, গোলাম আজম নিজেই তার পিতাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে গোলাম আজমের মা রমিশা বানু বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।