স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নতুন বছর সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্জন-অনার্জন নিয়ে কথা বলেছেন ইতিহাসবিদ ও অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। তিনি মনে করেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেখানে বাংলাদেশ ছিল, এখন আর সেখানে নেই। খাদ্য উৎপাদনসহ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অসামান্য সফল্য দেখিয়েছে। তবে এই অগ্রগতি নিয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকার সুযোগ নেই; টেকসই উন্নয়নের জন্য সুশাসনের ঘাটতি দূর করতে হবে, বৈষম্য কমাতে হবে এবং সুদৃঢ় করতে হবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান ও রাফসান গালিব
প্রথম আলো: বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করল। ২০২২ সালকে কেমন দেখতে চান?
আকবর আলি খান: প্রথমেই বলব, বাংলাদেশকে নিয়ে আমি আশাবাদী। ১৯৭১ সালে আমরা যে বাংলাদেশ দেখেছি, তার সঙ্গে তুলনা করলে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এত অগ্রগতি হবে, আমি চিন্তাও করতে পারিনি। দ্বিতীয়ত, কারিগরি ও প্রযুক্তির উন্নতির কারণে মানুষের ক্ষমতা অসম্ভব বেড়েছে। বাংলাদেশের নিরক্ষর মানুষটিও যেভাবে একটি মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারেন, অনেক দেশে এখনো তা অকল্পনীয়। বিল গেটসের মতো মানুষও বাংলাদেশের উন্নয়নে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যদিও সব ক্ষেত্রে সমানভাবে এগোতে পারিনি; কোনো কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়েও গিয়েছি।
প্রথম আলো: কোথায় কোথায় আমরা পিছিয়ে গেলাম?
আকবর আলি খান: শাসনের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে গিয়েছি, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রেও। সুশাসনের অভাব আছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রত্যয় ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা; সেখানেও আমরা পিছিয়ে আছি। যে দেশে গণতন্ত্র টেকসই হয় না, সে দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক শাসন জরুরি। আমাদের আরেকটি লক্ষ্য ছিল সমাজতন্ত্র; এর সংজ্ঞা নিয়ে যদিও অনেক ঝগড়া আছে। কিন্তু সমাজতন্ত্রের মূলকথা হলো বৈষম্য কমানো। বাংলাদেশে বৈষম্য কমেনি; বরং বেড়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গড় বৈষম্য ছিল, সেটি বিশ্বের ৩০ শতাংশ দেশে ছিল। আর এখন সেটি ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। এভাবে বৈষম্য বাড়তে থাকলে সামাজিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। এতে আমি শঙ্কিত।
প্রথম আলো: সম্প্রতি এক সেমিনারে আপনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন।
আকবর আলি খান: আমার শঙ্কা প্রকাশ এ কারণে যে আমরা উন্নয়ন সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারিনি। একাত্তরে বাংলাদেশ যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করেছে, এখন তার থেকে ১০ গুণ বেশি করছে। আবার জনসংখ্যাও বেড়েছে। তবু মাথাপিছু খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ আগের চেয়ে বেশি। একাত্তরে আর্সেনিকের আক্রমণ ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলে লোনাপানি বেড়ে গেছে। এ কারণে বেশির ভাগ মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। টেকসই উন্নয়নের জন্য খাদ্য ও সুপেয় পানি—দুটোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রথম আলো: মানবসম্পদ উন্নয়নের সূচকে আমাদের অবস্থান কী?
আকবর আলি খান: মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে আমরা কখনো এগিয়ে যাই, কখনো পিছিয়ে যাই। ক্ষুধা সূচকে এখনো কিন্তু আমরা ৭০ থেকে ৮০টি দেশের পেছনে আছি। বলা হয়, আমরা ভারত ও পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আছি, সেটি বড় বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হলো আমরা ক্ষুধা সূচক থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি কি না। এসব সূচকে পিছিয়ে আছি তা-ই নয়, অর্থনীতির আরও অনেক ক্ষেত্রে ভঙ্গুরতা আছে। সেসব সমস্যা সম্পর্কে সজাগ না থেকে আমরা যদি সব করে ফেলেছি বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকি, তাহলে সমূহ বিপদ হতে পারে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের অর্থনীতির দুই প্রধান চালিকা শক্তি তৈরি পোশাকশিল্প ও প্রবাসী আয়। ভবিষ্যতে এই খাতে কোনো বিপদের আশঙ্কা আছে কি না?
আকবর আলি খান: পোশাকশিল্পে আমরা এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছি, হয়তো প্রথম স্থানে যেতে পারব। কিন্তু পোশাকশিল্পে একটা পরিবর্তন হচ্ছে। কম্পিউটারাইজশনের ফলে পোশাক বানানোর প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে গেছে, আমরা অনেক ক্ষেত্রে আগের জায়গায় পড়ে আছি। আবার কম্পিউটারাইজশনের ফলে ব্যয় বেড়ে গেছে। এ কারণে প্রাথমিক বিনিয়োগ অনেক বেশি করতে হবে। সেটি করা গেলে, পরবর্তীকালে অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে যা তৈরি করা হয়, তার চেয়েও সস্তায় সম্ভব হবে। এতে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাবে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টও এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, এই পোশাকশিল্প আর ১০ থেকে ২০ বছর থাকবে, এর পরের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। আর প্রবাসী আয় দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেসব দেশে মানুষ যায়, সেসব দেশে আর্থিক অবস্থা কী রকম। যদি আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়, তাহলে তারা লোক নেওয়া কমিয়ে দেবে। দ্বিতীয় হলো, আমাদের যে প্রবাসী আয়, তার বেশির ভাগ আসে অদক্ষ শ্রমিকদের মাধ্যমে, তারা যে কাজ করে, পৃথিবীর আর কোনো দেশের মানুষই তা করতে চায় না। এটা বড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং ছোট হয়ে যেতে পারে।
প্রথম আলো: স্বাধীনতার পর আমরা শিক্ষার প্রতি তেমন নজর দিইনি বলে অভিযোগ আছে। আপনি কি এর সঙ্গে একমত?
আকবর আলি খান: শিক্ষায় অনেক পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। তবে শিক্ষায় অধোগতি হয়েছে, সেটা মানতে রাজি নই। আমাদের দেশে আগেও ১০ শতাংশ খুব ভালো শিক্ষার্থী ছিল আর ৯০ শতাংশ মাঝারি বা খারাপ। এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও অনুপাতটা একই আছে। এখানে পরিবর্তন আনতে সময় লাগবে। শিক্ষার সংস্কার রাতারাতি করা যাবে না। কমপক্ষে ১০ বছরের একটি কর্মসূচি নিতে হবে। আক্ষেপের কথা, যে ১০ শতাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীর কথা বললাম, তারা বাইরে চলে যাচ্ছে। বাইরের দেশের যে আকর্ষণ, সেটি দেশের মধ্যে মেটানো সম্ভব নয়। সে জন্য আমাদের চীনের পর্যায়ে যেতে হবে। এখন আর চীন থেকে শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে যাচ্ছে না, বাইরের দেশ থেকে চীনে যাচ্ছে।
প্রথম আলো: ‘বিচিত্র ছলনাজালে বাংলাদেশ’ বইয়ে আপনি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে এমন কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন, যা অতীতে কোনো গবেষক বলেননি। কিন্তু সমাধানের পথ কী?
আকবর আলি খান: আমি মনে করি, বইটিতে যা লিখেছি, সেগুলো প্রয়োগ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। নির্বাচনে যেখানে শতভাগ অনিয়ম হচ্ছে, সেটি হয়তো ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কমে আসবে। আস্তে আস্তে সেই হার বাড়াতে হবে। সেখানে আমি অনেকগুলো ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছি। এগুলো গ্রহণ করলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটতে পারে। যেমন আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সুব্যবহারের কথা বলেছি। এর মানে কেবল ইলেকট্রনিক ব্যালট না। ইলেকট্রনিক ব্যালটে আমেরিকাতেও জালিয়াতি হয়, বাংলাদেশেও হবে। যে ব্যালট কাস্ট করা হয়, সেটার ফলাফল ঘোষণা করার আগে কম্পিউটারের মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ করা যায়। আপনি আগেই কম্পিউটারে তথ্য দিয়ে রাখলেন, এই ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ভোট থাকলে ২ হাজার ৪০০ ভোট কাস্ট হতে পারে। এখন সেখানে যদি ২ হাজার ৬০০ বা ২ হাজার ৮০০ ভোট কাস্ট হয়, তাহলে কম্পিউটার সেখানে দাগ দিয়ে দেবে। সেখানে আবার ভোট গ্রহণ করা হবে কি না, সেটা নির্বাচন কমিশন দেখবে। ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে কাউন্ট করতে হবে, ভারতের মতো নির্বাচন করে দেরিতে ফল গণনা এখানে সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেটিই থাকবে। ফলাফল কমিশনই প্রকাশ করবে এবং দেখবে কত ক্ষেত্রে কত খারাপ কাজ হয়েছে। কোনোখানে আবার নির্বাচন করতে হবে কি না।
প্রথম আলো: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক। এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলাম না। এর জন্য কাকে দায়ী করবেন?
আকবর আলি খান: রাজনীতিবিদদেরই। তাঁরাই এ সমস্যার সৃষ্টি করেছেন, তাঁরাই সেটা লালন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলই সুষ্ঠু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
প্রথম আলো: আপনি বইটিতে লিখেছেন ২০১৭ সালে। তারপর ২০১৮ সালে একটি নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? আর ২০২৩ সালের নির্বাচন কেমন হবে বলে আশা করেন?
আকবর আলি খান: আমি সেই নির্বাচন সামনে রেখেই বইটি লিখেছিলাম। যদি নির্বাচন কমিশন বা অন্যরা এটিকে গ্রহণ করে। কিন্তু সেটা সেই পর্যায়ে গৃহীত হয়নি, ফলে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ২০১৮ সালের যে নির্বাচন হলো, তা আইনিভাবে বৈধ হলো, গণতান্ত্রিকভাবে হয়নি। ২০২৩ সালের নির্বাচনে কী হবে, সেটি বলা মুশকিল। আমি আশা করব, নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তৈরি হয়েছে, সবাই যদি বুঝতে পারেন, তাহলে হয়তো ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না।
প্রথম আলো: আপনি নির্বাচনী সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর জোর দিয়েছেন।
আকবর আলি খান: রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে এ কাজ করবে কে? পদ্ধতি পরিবর্তনের কাজ তো রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে। এখন সবাই যদি সুন্দরভাবে বিষয়টা চিন্তা করেন, তাহলে রাজনৈতিক ঐকমত্য হতে পারে। আরেকটা হতে পারে, যদি দেশের বেশির ভাগ মানুষ একমত হয়ে যায়, এতে ক্ষমতাসীনেরা রাজি না-ও হন, তাহলে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক। রাজনীতিবিদদের এড়িয়ে সমাধান করা যাবে না।
প্রথম আলো: আমাদের শাসন পরিচালনার প্রধান সমস্যা কি অযোগ্যতা, না দুর্নীতি?
আকবর আলি খান: দুটিই। দুটিই যখন একত্র হয়, তখন অবস্থা আরও ভয়ংকর হয়ে দাঁড়ায়। দেশের মানুষ যখন দেখতে পাবে, এভাবে আর চলছে না, তখন আস্তে আস্তে পরিবর্তন ঘটবে। ডিজিটালাইজেশনও হয়তো এখানে সহায়তা করতে পারে। জনগণের চাহিদা পূরণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পরিবর্তন আনতে পারলে বাংলাদেশের প্রশাসনেও বড় পরিবর্তন আসবে।
প্রথম আলো: যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক সমাজের একটি ভূমিকা থাকে। আমাদের দেশে নাগরিক সমাজের ভূমিকা কীভাবে দেখেন?
আকবর আলি খান: সব দেশেই নাগরিক সমাজের ভূমিকা থাকে, কিন্তু তারা কখনো দেশ শাসন করবে না। তাদের যদি রাজনীতিকদের বিকল্প বা দেশ শাসনে সমর্থ ভাবা হয়, তারা আর নাগরিক সমাজ থাকে না। তারাও রাজনীতিবিদ হয়ে যায়। নাগরিক সমাজের অনেকে রাজনৈতিক চাপের কারণে কথা বলতে পারেন না। আবার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় অনেকে কথা বলেন। যাঁরা শুধু সংগঠন করেন, তাঁরাই নাগরিক সমাজ নন; শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী—সব পেশার মানুষই এর অংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে আমরা শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি দেখেছি; কিন্তু জনস্বার্থ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি সব সময় ঐকমত্য থাকত। আইনজীবীদের মধ্যেও তেমনটা ছিল, এখন আসলে তাঁরা ভাগ হয়ে গেছেন। এখন একটা পেশাও পাবেন না, যেখানে পরস্পরবিরোধী সংগঠনগুলো একমত হতে রাজি হবে। কোনো জায়গায় ঐক্য দেখতে পাই না।
প্রথম আলো: একটা কথা বলা হয় যে টেকসই উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র দরকার। কিন্তু চীনসহ অনেক দেশই তো গণতন্ত্র ছাড়াই উন্নয়ন করেছে।
আকবর আলি খান: চীন গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন করলেও সুশাসনের প্রতি তাদের নজর আছে। তবে চীনের বর্তমান অবস্থা চিরদিন না-ও থাকতে পারে। গণতন্ত্র না হলে চীনেও নানা সমস্যা দেখা দেবে। ইতিমধ্যে যে গোলযোগ হয়েছে, চীন সরকার তা দমন করতে পেরেছে। কিন্তু ভবিষ্যতে সম্ভব না-ও হতে পারে। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন যদি একসঙ্গে থাকে, তাহলে সেটা টেকসই হয়, নয়তো ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রথম আলো: যে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, সেই বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আকবর আলি খান: আমি আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি যে স্বাধীনতা বিশাল একটা ব্যাপার, আমরা সেটা অর্জন করেছি। এখন এটিকে সুসমন্বিত ও সুন্দর করার জন্য আমাদের ত্যাগ করতে হবে, সেটি হয়তো ৫ বা ১০ বছরে হবে না; কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই একটি মর্যাদাবান দেশ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। বেদনার জায়গাটা হলো আমরা অনেক কিছু আরও আগে করতে পারতাম। এখন সেটি নিয়ে বসে না থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। স্বপ্নের পাল্লা এখনো ভারী বলে আমি মনে করি।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
আকবর আলি খান: আপনাদেরও ধন্যবাদ।
প্রথম আলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন