ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাস বলেছে, গতকাল (শনিবার) ইসরাইলি কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের শরীরে মারাত্মক আঘাতে চিহ্ন রয়েছে এবং ইহুদিবাদী কারারক্ষীরা তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস।
শনিবার চতুর্থ দফায় গাজ্জা থেকে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এর পরিবর্তে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। এদের মধ্যে কয়েক ডজন বন্দি গাজ্জায় ফিরে আসেন। বাকিরা জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যান।
বিবৃতিতে হামাস জানায়, যারা গাজ্জায় ফেরত এসেছেন তাদের অনেকের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে এবং তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট ইহুদিবাদী গ্যাং ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে ইসরাইলি কারারক্ষীদের এই ভয়ঙ্কর আচরণকে ‘যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর জন্য তাদের বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব এক বিবৃতিতে জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে নির্যাতন, অনাহার, সংক্রমণ এবং খোস-পাঁচড়ার লক্ষণ দেখা গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়ার আগে বেশ কয়েকদিন ধরে ইসরাইলি কারারক্ষীদের প্রচণ্ড মারধরের ফলে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দির পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে।
সূত্র: পার্সটুডে